আপনার কি কখনো মনে হয়েছে যে, কাউকে কোনো কথা বলতে গিয়ে মন সায় দিচ্ছে না? কিংবা তাকে কথাটি বলা আপনার জন্য বেশ কঠিন মনে হয়েছে?
অধিকাংশ সময় আমরা সাধারণত দুটি কারণে কাউকে কোনো কথা বলতে সংকোচ বোধ করি বা বলাটা কঠিন মনে হয়।
এই কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো, আমরা হয়ত ভাবি যে সামনে থাকা ব্যক্তি আমাদের কথায় কষ্ট পেতে পারেন; অর্থাৎ আমরা হয়ত তার অনুভূতিতে আঘাত করছি।
আরেকটি কারণ হলো, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের মনে হয় যে কথাটি শুনে সেই ব্যক্তি হয়ত রেগে যেতে পারেন।
অর্থাৎ, কথাটি বলার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশের সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা কাজ করে আমাদের মনে। আর এই সংকোচের কারণে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়ে ওঠে না।
তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করে আপনি যেকোনো কথা বলে ফেলতে পারেন। এতে করে বক্তা এবং শ্রোতা উভয়ের জন্যই বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে।
প্রথমত, বলার বিষয় যাই হোক না কেন; আপনি কথাটি কীভাবে বলছেন সেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। টেক্সট মেসেজ, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ বা ই-মেইলে কোনো কিছু বলে ফেলা খুব সহজ। অফিসিয়াল বা প্রাতিষ্ঠিানিক কোনো বিষয় হলে ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার কথাটি অন্যকে জানাতেই পারেন। কিন্তু কথাটি যদি শ্রোতার জন্য অপ্রত্যাশিত বা বেদনাদায়ক হয়, তাহলে সেটি সামাসামনি বলা সবচেয়ে ভালো। এজন্য প্রথমে তাকে আবেগতাড়িত না কিছুটা বাস্তবিক হওয়ার জন্য বলে নিতে পারেন।
যদি কোনো কথা নিয়ে আপনি দ্বিধায় ভোগেন, তাহলে সেটি বলার আগে বেশ কয়েকবার অনুশীলন করে নিতে পারেন। কথাটি সহজে বলার জন্য লিখে নিয়ে বিভিন্ন শব্দ সংশোধন ও পরিমার্জন করে নিতে পারেন।
কথাট বলার জন্য উপযুক্ত সময় এবং একান্ত স্থান নির্ধারণ করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগে কখনোই মানসিক চাপ বৃদ্ধি করার মতো কথা কাউকে বলা উচিত নয়।
কখনোই লোকজনের সামনে এমন কোনো কথা বলা উচিত না, যাতে তিনি লজ্জা পেতে পারেন বা অসম্মানিত বোধ করতে পারেন। তার সম্মান এবং আবেগের মূল্যায়ন অবশ্যই করুন।
নিজের মানসিক অবস্থা, ইচ্ছা বা উদ্যেশ্যের পাশাপাশি সবসময় শ্রোতার মানসিক অবস্থা এবং আবেগের কথা মাথায় রাখুন। যে কথাটি সরাসরি না বললেও চলে সেটিকে উদাহরণ দেওয়ার মাধ্যমে সহজে বুঝিয়ে বলতে পারেন।
একে অপরের মন এবং অনুভূতির খেয়াল রেখে যখন কোনো কথা বলা হবে তখন অবশ্যই সেই কথাটি বলা সহজ হবে এবং ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে।