যার ডায়াবেটিসে ভোগেন বা কম মিষ্টি পছন্দ করেন তাদের কাছে ডার্ক চকোলেট পছন্দ। সাধারণ চকোলেটে যে পরিমাণ ক্যালোরি থাকে, তা ওজন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু চকোলেট মাত্রই যে অস্বাস্থ্যকর, তা কিন্তু নয়। চিকিত্সকদের মতে, চকোলেট যদি খেতেই হয়, তবে ডার্ক চকোলেট খান। মিলবে বহু উপকার।
তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ডার্ক চকোলেট কতটা উপকারী।
ত্বকের হাইড্রেশন বৃদ্ধি করে
ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকা কিছু যৌগ হাইড্রেশনে সাহায্য করে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অনুসারে, ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে যা ত্বকে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে, যা ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। তবে এটি পরিমিত পরিমাণে খেতে ভুলবেন না।
হার্টের যত্নে
ব্যস্ততম জীবনে অনিয়ম যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। আর সেই অনিয়মের হাত ধরেই হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে ডার্ক চকোলেট হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এই চকোলেটে থাকা কোকো রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
মনের দেখাশোনায়
মনখারাপের ওষুধ ডার্ক চকোলেট। কোকোতে ফ্ল্যাভনয়েড ভরপুর পরিমাণে থাকে। মস্তিষ্কে রক্তের সঞ্চালনা বৃদ্ধিতে কোকো খুবই ভালো কাজ করে। এছাড়া শরীর এবং মন চনমনে করে তুলতেও ডার্ক চকোলেটের জুড়ি মেলা ভার।
বার্ধক্যের ছাপ আটকাতে
বয়স বাড়লে তার ছাপ পড়ে শরীরে। তবে সময়ের আগে অকালবার্ধক্য ঠেকাতে ভরসা হতে পারে এই ডার্ক চকোলেট। এই চকোলেট অ্যান্টি-এজিং হিসাবে কাজ করে। ডার্ক চকোলেটে এক ধরনের বায়ো-অ্যাক্টিভ পদার্থ থাকে, যা ত্বকের রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।
রক্তচাপ কমাতে
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ডার্ক চকোলেট ভীষণ উপকারী। এই চকোলেট খেলে ধমনীতে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়। যার ফলে মস্তিষ্ক ধমনীকে বার্তা পাঠায় বিশ্রাম নেওয়ার। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সূত্র: এই সময়