গায়ে মাখার সাবানের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার দিকে অনেকেই খেয়াল করেন না। মাসের পর মাস অথবা বছর ধরে একই সাবান গায়ে ঘষতে থাকেন অনেকেই। ক্ষয়ে যাওয়া সাবানের টুকরো দিনের পর দিন ব্যবহার করতে থাকলে, কী হতে পারে জানেন?
সাবান প্যাকেটবন্দি হওয়ার পর থেকে এক বা দু’বছর তা ভালো থাকে। তবে সেই সাবান যখন ব্যবহার করা শুরু হয়, তখন তা কীভাবে রাখা হচ্ছে, কোথায় রাখা হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করে সাবানের গুণ আদৌ টিকে আছে কি না। যেকোনো প্রসাধনীরই মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। সেটি পণ্যের মোড়কে লেখাই থাকে। কিন্তু গায়ে মাখার সাবানের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি কেউই তেমন খেয়াল করেন না। ফলে সাবান যতই ক্ষয়ে যাক না কেন, তা আবার সেই সোপ কেসেই রেখে দেওয়া হয় পরের বার ব্যবহারের জন্য। আর কেসটিও যে খুব পরিচ্ছন্ন থাকে, তা-ও নয়। সেখানেও সাবান পানি জমতে জমতে তাতে নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের জন্ম হয়, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সাবান দিনের পর দিন মেখে গেলে তার থেকে ত্বকে চুলকানি, ঘা, র্যাশ দেখা দিতে পারে। এমন সাবান থেকেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ‘‘কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস’’ হয়, যেখানে ত্বকে লালচে র্যাশ দেখা দেয়। এমন সাবান থেকে ছত্রাকের সংক্রমণও ঘটতে পারে।
হাতের ত্বকে যে কেরাটিনোসাইট রয়েছে, তাতে লিপিডের স্তর থাকে। যেকোনো সাবান দিনের পর দিন বেশি করে ব্যবহার করতে থাকলে লিপিডের স্তরটি চলে যেতে পারে। বিশেষ করে কড়া ডিটারজেন্ট হাতে লাগলে ত্বক শুকিয়ে যায়। ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব নষ্ট হয়ে যায়। তাই যদি পুরনো সাবানই এখনও ব্যবহার করেন, তা হলে বদলে ফেলার চেষ্টা করুন। না হলে প্রতিবার ব্যবহারের পরে পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ বা তরল প্যারাফিন বেসড ময়েশ্চারাইজার ত্বকে লাগিয়ে নেবেন।
সূত্র: আনন্দবাজার