অনেকেই মনে করেন খাবার না খেলে মনে হয় ওজন কমে যাবে। কিন্তু একেবারে না খেয়ে বা অল্প খাবার খেয়ে দিনযাপন করাটা বাস্তবসম্মত কোনো পদ্ধতি নয়। সুস্থ থাকতে হলে ক্যালোরি হিসেব করে খেতে হবে। জিম না করেও ওজন কমানো যায়।
ওজন কমানোর জন্য এমন খাবার বেঁছে নিতে হবে যা হজম হয় ধীরে যাতে ক্ষুধা দেরিতে লাগে। পাশাপাশি খাবারের পুষ্টিমানের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন কমাতে যে খাবারগুলো খাবেন।
শাকপাতা
ওজন কমাতে বেছে নিতে পারেন যেকোনো শাকসবজি। প্রতিদিন পর্যাপ্ত শাক খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা ভালো। কেউ কেউ ভাবেন, রাতের বেলা শাক খেতে হয় না। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কিন্তু নেই।
ফুলকপি
১০০ গ্রাম ফুলকপিতে ২৫ ক্যালোরি রয়েছে, ভাতের সঙ্গে ফুলকপি তরকারি খেতে পারেন।
ফল
সারাদিনে নানা রকম ফল খেতে পারেন। এক্ষেত্রে টক এবং পানসে ফল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। এছাড়াও ১০০ গ্রাম আপেলে ৫২ ক্যালোরি রয়েছে। ফাইবারে ভরপুর এই খাবার ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তরমুজ গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। তাছাড়া এই ফলে মাত্র ৩০ ক্যালোরি রয়েছে। পাকা পেঁপে হজমে সহায়তা করে। ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপেতে মাত্র ৪৩ ক্যালোরি আছে।
মিষ্টি আলু
সাধারণ আলু খাওয়ার থেকে মিষ্টি আলুতে পুষ্টিগুণ বেশি। ১০০ গ্রাম সিদ্ধ মিষ্টি আলুতে ৭৭ ক্যালোরি রয়েছে। এছাড়া এই সবজি পটাশিয়ামে ভরপুর।
চিনাবাদাম
দেশি চিনাবাদাম খেতে পারেন। তবে দিনে ৮০-১০০ গ্রামের বেশি নয়। এতেও পাবেন আমিষ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। খোসা ছাড়ানোর পর যে লাল আবরণটি দেখা যায় চিনাবাদামের গায়ে, এই আবরণটি ফেলবেন না।
ডার্ক চকোলেট
মিষ্টি খাওয়ার ক্রেভিং কমাতে পারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট। ১০০ গ্রাম ডার্ক চকোলেটে ৫৪৬ ক্যালোরি রয়েছে।
ডাল
ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। ১০০ গ্রাম ডালে প্রায় ৩৩৩ ক্যালোরি থাকে।
টক দই
ওজন কমাতে টক দইও খেতে পারেন। সালাদ তৈরিতে কাজে লাগাতে পারেন এই উপকরণ।