এখন আমাদের দিন-রাত কাটে ব্যস্ততায়। সারাদিনে তো বটেই রাতেও অনেকে কাজ করেন। এর ওপর উপর স্মার্টফোন ব্যবহার তো রয়েছেই। সামাজিকমাধ্যমে চোখ রাখতে গিয়ে ঘুমের বারোটা বাজছে। ফলে নিয়মিত বা পরিমিত ঘুম কোনোটাই হচ্ছে না। এর ফলে নানা রকম রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাত ঘণ্টা নিয়মিত ঘুম না হলে হতে পারে সর্বনাশ। জেনে নিন ঘুম কম হওয়ার বিপদ সম্পর্কে।
ঘুম কম হওয়ার সমস্যা
ক্লান্তিবোধ
সারাদিন অনেক রকম কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় আমাদের। রাতে সাত ঘণ্টার কম ঘুম হলে সারাদিন ঝিমুনিভাব থাকে। তার ফলে ক্লান্তিবোধ হয়। কাজ করার আগ্রহও কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে
শুধু সুষম খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে তা কিন্তু নয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুমও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই একটানা সাত ঘণ্টার কম ঘুম হলে অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন আপনি। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভ্যাস বদলান।
ফুসফুসজনিত রোগ
যারা কম ঘুমান তাদের সিওপিডি-র মতো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই ফুসফুসজনিত রোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ঘুমনোর অভ্যাস বদল করুন। ন্যূনতম সাত ঘণ্টা বা তারচেয়ে বেশি ঘুমাতেই হবে। সেভাবে নিজের দৈনিক রুটিন তৈরি করে ফেলুন।
ওজনজনিত সমস্যা
আপনি কি খাওয়াদাওয়া না করেই মোটা হয়ে যাচ্ছেন? কিংবা অনেক রোগা হয়ে গেছেন? তাহলে অবশ্যই কতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন, তার হিসাব করুন। সাত ঘণ্টার কম ঘুমালে কিন্তু অকারণে ওজনের তারতম্য হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক ঘুমের ফলেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন প্রতিটি মানুষ। নিমেষে দূর হয়ে যেতে পারে হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা। রক্তচাপজনিত সমস্যা, রোগ প্রতিরোধ সমস্যাও দূর হওয়ার একটাই ওষুধ পর্যাপ্ত ঘুম।
তবে অনেকেই দাবি করেন, তারা ঘুমাতে চাইলেও রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি নিয়ম মানলেই ভালো ঘুম হতে পারে।
সেগুলি হলো:
১. ঘুমানোর কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া সেরে ফেলুন।
২. অতিরিক্ত পরিমাণে চা-কফি পান করবেন না।
৩. নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪. ঘুমানোর সময় পুরো ঘর অন্ধকার করে নিন।
৫. শোওয়ার ঘর কিংবা বিছানার আশেপাশে স্মার্টফোন রাখবেন না।