এই গরমে ঘামাচিতে কষ্ট পান অনেকেই। তবে ঘরোয়া কিছু নিয়মে ত্বকের এই সমস্যা দূর হতে পারে।
কেন হয় ঘামাচি?
আমরা জানি ত্বকের লোমকূপ দিয়ে ঘাম বের হয়। আর এই ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। তবে ঘাম যদি শরীর থেকে বের হতে না পারে তাহলে ত্বকে ঘামাচি তৈরি হয়। আবার ঘাম ঠেকাতে অনেকেই বেশি করে পাউডার ব্যবহার করেন। এতে সাময়িকভাবে হয়তো ঘাম কমানো যায়। আদতে সমস্যা বেড়ে যায়। কারণ পাউডার ব্যবহারে ঘামাচিসহ ত্বকের অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যে গ্রন্থি থেকে ঘাম নিঃসরণ হয়, পাউডার ব্যবহারের ফলে ময়লা জমে সেই মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঘাম বাইরে বেরোতে পারে না। লোমকূপের মধ্যে ঘাম জমতে শুরু করে। এরপর তা বাইরে বেরিয়ে আসে ঘামাচি হিসাবে।
প্রতিকারের উপায়
১. কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে যতই দেরি হোক, নিয়মিত গোসল করতে হবে। শরীরে ঘাম বসতে দিলেই সমস্যা। ঘাম জমলেই ঘামাচি হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।
২. বাড়ির বাইরে থাকলেও ঘাম বসতে দেওয়া চলবে না। খুব বেশি ঘেমে গেলে ভেজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে বার বার মুখ, গলা, ঘাড়, হাত-পা মুছে নেওয়া প্রয়োজন। তাই সঙ্গে সুতির তোয়ালে বা কাপড় রাখা জরুরি।
৩. ত্বক শরীরের অতি স্পর্শকাতর অংশ। ফলে বেশিক্ষণ রোদে ঘোরাঘুরি করলে ঘামাচি হতে পারে। তাই যত কম রোদে বেরোনো যায়, ততই ভালো।
৪. গরমে ঘামাচি এড়াতে সুতির পোশাক পরতে বলছেন চিকিৎসকেরা। সুতির কাপড়ের মধ্যে দিয়ে বায়ু চলাচল বেশি করে। তাই গরমে যে ঘাম হয়, তা সহজেই শুষে নেয় সুতির পোশাক। ফলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে।
৫. গরমে অনেকেই নানা সুগন্ধি ব্যবহার করেন। এই ধরনের প্রসাধনী ঘামাচির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। ট্যালকম পাউডারের মতো সুগন্ধিও ঘর্মগ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয়। ফলে ঘামাচির সমস্যা বেড়ে যায়।
সূত্র: এই সময়