মাঘ মাসের কয়েকটি দিন হাতে থাকতেই ফুটতে শুরু করে পলাশ। আর তখনই আমরা বুঝতে পারি বসন্ত সমাগত। তবে শুধু সৌন্দর্যেই নয়, গুণেও অনন্য পলাশ। বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে পলাশের নানামাত্রিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এই গাছের ফুল, বাকল, পাতা এবং বীজ বিভিন্ন ধরণের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই ফুলে উপস্থিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলো চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং এমনকি পাইলসের মতো সমস্যায়ও উপশম করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পলাশ ফুলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
পলাশ ফুলের উপকারিতা
চর্মরোগ
আয়ুর্বেদের মতে, পলাশ বীজের পেস্ট ত্বকে লাগালে একজিমা, চুলকানি এবং শুষ্কতার মতো ত্বকের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস
আয়ুর্বেদের মতে, পলাশ ফুলে অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, তাই রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এটি কার্যকর। এছাড়াও পলাশ পাতার গুঁড়া শরীরে গ্লুকোজ বিপাক উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন- এর একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, যখন ল্যাবে দুই সপ্তাহ ধরে ইঁদুরের ওপর ২০০ মিলিগ্রাম পলাশ ব্যবহার করা হয়েছিল, তখন তাদের চিনির মাত্রা এবং সিরাম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ছিল।
ক্ষত
পলাশ বীজে উপস্থিত নিরাময়কারী বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি রক্তপাত বন্ধ করে, যা ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। এর জন্য একটি পলাশ ফুল পিষে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে লাগালে রক্তপাত তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
পাইলস
পলাশ ফুল পাইলসের সমস্যায় উপশম দিতে পারে। পাইলসের কারণে মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরে কিছু আঁচিলের মতো বৃদ্ধি তৈরি হয়, যা কখনও কখনও রক্তপাত এবং ব্যথার কারণ হয়। কিন্তু পলাশ ফুল এই সমস্যায় উপশম দিতে পারে। এ জন্য পলাশ ফুল শুকিয়ে তৈরি গুঁড়া খেলে পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা
গ্রীষ্মকালে তৃষ্ণা বেশি লাগে। যার কারণে ব্যক্তির গলা বারবার শুকিয়ে যেতে থাকে। আয়ুর্বেদের মতে, পলাশ ফুল তৃষ্ণা কমিয়ে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরে পানির অভাব হয় না।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস