গ্রীষ্মকালে এয়ার কন্ডিশন (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) বা এসির কোনো বিকল্প নেই। ঢাকার প্রায় সব অফিস-আদালত, শপিং মল ও বাসা-বাড়িতে জায়গায় করে নিয়েছে এসি। কিন্তু জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই এয়ার কন্ডিশন ব্যবহারে রয়েছে বেশকিছু শারীরিক ক্ষতিও, যা সম্পর্কে অবগত নন বেশিরভাগ মানুষ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এয়ার কন্ডিশন নীরবে মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করে চলেছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে থাকতে থাকতে শরীর এক ধরনের তাপমাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে যায়। কোনো কারণে এর ব্যত্যয় ঘটলেই দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার কারণে চোখ ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা, চোখ লাল হওয়া, চোখ থেকে অবিরাম পানি পড়া, শরীরে রক্ত সঞ্চালনের ঘাটতি, শরীরের জয়েন্টে ব্যথা, হাঁপানি, অতিরিক্ত ওজন (ওবেসিটি), শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়া এবং অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়াসহ আরও নানা রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা থাকে।
মাথা ব্যথা
এসির হাওয়ায় থাকলে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যায়। কিন্তু একটানা এসি ঘরে থাকলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়। শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হওয়ায় মাথা যন্ত্রণা শুরু করে।
অত্যধিক ক্লান্তি
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের হাওয়ায় থাকলে শরীরের চনমনে ভাব চলে যায়। যান্ত্রিক কৃত্রিমতা শরীরের চনমনে ভাব নষ্ট করে দেয়। কোনো শক্তি পাওয়া যায় না। সারাক্ষণ একটা ঝিমুনিভাব আসে।
শ্বাসকষ্ট
আগে থেকেই যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে বেশিক্ষণ থাকা উচিত হবে না। তাছাড়া এসি চললে দরজা-জানলা বেশিক্ষণ খুলে রাখা যায় না। এমন পরিবেশে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বেশি।
ত্বকের সমস্যা
খুব বেশিক্ষণ এসিতে থাকার ফলে ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক। তা ফেটে গিয়ে চুলকানি হতে পারে। বেশি রোদ, আর বেশি এসির ঠাণ্ডায় অনেক সময় ত্বক খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে নানান সমস্যা দেয় ত্বকে।
ডিহাইড্রেশন
যে ঘরে এসি রয়েছে, সেখান থেকে বেশি আর্দ্রতা শোষণ করে নেয়। ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা যায়। এসি ঘরে দিনের বেশিরভাগ সময় থাকলে যথেষ্ট পরিমাণে পানি খেতে হবে।
সূত্র: আনন্দবাজার