অলস জীবনযাপনই ডেকে আনছে শরীরে হাজারো রোগ। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা, হাঁটাচলা না করা, ঘাম না ঝরানোই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিডের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিচ্ছে। এই সব সমস্যা এড়াতে হলে এবং সুস্থ জীবনযাপন করতে হলে নিয়ম করে হাঁটতে হবে।
অনেকেরই জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর সময় থাকে না। বাড়িতেও সময় হয় না এক্সারসাইজ করার। তাই নিয়ম করে হাঁটুন। দিনে ৩০ মিনিট হাঁটলেই উপকার পাবেন। কিন্তু বিষয় হলো দিনের কোন সময় ৩০ মিনিট হাঁটবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মর্নিং ওয়াক না করাই ভালো। ভোরবেলা বাতাসে দূষণ, ধূলিকণার পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে। তা হলে দিনের কোন সময় হাঁটবেন?
পুষ্টিবিদ ঋদ্ধি প্যাটেল সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন হাঁটার উপকারিতা। ঋদ্ধি জানাচ্ছেন, সারাদিনে ৩০ মিনিট হাঁটলেই সুস্থ থাকা যায়। এ বার এই ৩০ মিনিটকে ১০ মিনিট করে তিন ভাগে ভাগ করে নিন। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনারের শেষে ১০ মিনিট করে হাঁটুন। সকালবেলা ১ ঘণ্টা হাঁটার চেয়ে এ ভাবে ভারী খাবার খাওয়ার পর ১০ মিনিট করে হাঁটলে বেশি উপকার মেলে। যদি ডায়াবিটিসের রোগী হোন, এই টোটকায় দারুণ উপকার পাবেন বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ।
দিনে ৩০ মিনিট হাঁটাই যথেষ্ট। সেই সময়টুকুও যদি না হয়, তা হলে সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট হাঁটুন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেন স্টেট কলেজ অফ মেডিসিনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১৫০ মিনিট ব্রিস্ক ওয়াক বা অ্যারোবিক এক্সারসাইজ় করলে ফ্যাটি লিভারের হাত থেকে মুক্তি মেলে। এমনকী মানসিক চাপ কমাতেও হাঁটুন। সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে কিংবা সারা সপ্তাহে ১৫০ মিনিট, হাঁটলেই সুস্থ থাকতে পারবেন।