বর্ষাকালে আবহাওয়া স্যাঁতসেঁতে ও আর্দ্র থাকায় খাদ্যে সহজেই ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্যান্য জীবাণু জন্মাতে পারে। ফলে এই সময় সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আপনি কী খাচ্ছেন সেদিকে অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্ষায় যেসব ফল খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে
তরমুজ ও শসা- বর্ষাযকালে এমনিতেই বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে এবং শরীরে পানির চাহিদা কমে যায়। আর এই তরমুজ ও শসায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। আর এই সময় অতিরিক্ত জলীয় ফল হজম করা কঠিন হতে পারে। এর থেকে পেটে গ্যাস বা ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, এগুলোতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে।
কাটা ফল- রাস্তার পাশে বা দোকান থেকে কাটা ফল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। বর্ষাকালে আবহাওয়া স্যাঁতসেঁতে ও আর্দ্র থাকায় খাদ্যে সহজেই ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্যান্য জীবাণু জন্মাতে পারে। ফলে এই সময় বাছাই করে ফল খাওয়া জরুরি, কারণ কিছু ফল পেটে সমস্যা, যেমন- ডায়রিয়া, গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা পেট ব্যথার কারণ হতে পারে।
বেরি জাতীয় ফল- যদিও অনেক বেরি উপকারী, তবে কিছু বেরি, বিশেষ করে যেগুলো খোলা অবস্থায় বিক্রি হয় এবং সঠিকভাবে ধোয়া হয় না, সেগুলো বর্ষায় সংক্রমণের উৎস হতে পারে। স্ট্রবেরি বা ব্লুবেরির মতো ফল যেগুলো মাটিতে জন্মায়, সেগুলো ভালো করে না ধুলে পেটের সমস্যা করতে পারে।
কয়েক দিনের পুরনো ফল- ফ্রিজে রাখা বা কয়েক দিনের পুরনো ফল, যা সতেজ নয়, বর্ষাকালে না খাওয়াই ভালো। এই সময়ে ফল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এবং রোগজীবাণু বাসা বাঁধে।
টক ফল- অতিরিক্ত টক ফল, যেমন কাঁচা আম (যদি সিজন থাকে) বা অতিরিক্ত টক কমলা/লেবু (যদি হজমের সমস্যা থাকে), বর্ষায় এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কারণ এই সময়ে শরীরের হজম ক্ষমতা কিছুটা কমে যায় এবং অতিরিক্ত অ্যাসিডিক খাবার অ্যাসিডিটি বা পেটের গোলমাল বাড়াতে পারে।
বর্ষায় যেকোনো ফল খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন, প্রয়োজনে হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন।
বর্ষাকালে নিরাপদে খাওয়ার উপযোগী ফল
বর্ষাকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং খাবার থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এই সময় পরিষ্কার, সহজপাচ্য ও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ফল খাওয়া উচিত। এই তালিকায় রয়েছে আপেল, কলা, ডালিম, নাশপাতি ইত্যাদি।