পার্সোনাল ও প্রফেশনাল স্পেস আলাদা রাখতে হলে পুরো বাড়িটাকে তো আর অফিস বানালে চলবে না! জেনে নিন কয়েকটি উপায়
ঘরে থেকেই যখন অফিশিয়াল কাজকর্ম করছেন, তখন ঘরে নির্দিষ্ট একটা ওয়ার্ক স্পেসও থাকা জরুরি। এখন অফিসই বাড়ি, যেখানে বোর্ড মিটিং, সেখানেই উইকএন্ড মুভি থিয়েটার। ডিনার টেবলটাই আপনার ওয়র্কস্টেশন। তবে সংসার আলাদা হলে তো ক্ষতি নেই! পার্সোনাল আর প্রফেশনাল স্পেস আলাদা রাখতে হলে পুরো বাড়িটাকে অফিস বানালে চলবে না। অফিস থাকুক বাড়ির একটা অংশে। জেনে নিন কীভাবে বাড়িতেই তৈরি করবেন আলাদা ওয়ার্ক স্পেস।
১. বড় বাড়ি হলে সহজেই বাড়ির কোনও একটা ঘরকে অফিস রুম হিসেবে রূপান্তর করে নিতে পারেন। সেই ঘরেই অফিস-সংক্রান্ত কাগজপত্র থেকে শুরু করে জরুরি সরঞ্জাম, স্টেশনারি সব রাখুন। তবে যদি আলাদা রুম অ্যালোকেট করা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে বাড়ির কোনও একটা ছোট অংশকেই ওয়র্ক স্টেশন হিসেবে সাজিয়ে নিতে পারেন।
২. টিভি, হোম থিয়েটার বা মিউজ়িক সিস্টেম থাকলে, ওয়ার্ক স্পেস তার ধারেকাছে রাখবেন না। এতে আপনারও কাজে অসুবিধে হবে, বাড়ির অন্য সদস্যদেরও এনটারটেনমেন্টে সমস্যা হবে।
৩. ওয়ার্ক স্পেসে একটা মোটামুটি বড় মাপের টেবিল, ভাল চেয়ার অবশ্যই রাখুন। ল্যাপটপে কাজ করলেও, আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র রাখার জন্য টেবলে ড্রয়ার্স থাকলে ভাল। যারা ডেস্কটপে কাজ করছেন, তাদের ক্ষেত্রে প্রপার কম্পিউটার টেবলই আদর্শ।
৪. বসার চেয়ারটি কেতাদুরস্ত না কিনে আরামদায়ক কিনুন। অফিসে যতক্ষণ চেয়ারে বসে থাকেন, বাড়িতে তার চেয়ে একটু হলেও বেশিক্ষণ ওই চেয়ারে থাকেন। আর্গোনমিক চেয়ার, যা উচ্চতা অনুযায়ী অ্যাডজাস্ট করা যায়, বা কমফর্ট অনুযায়ী টিল্ট করা যায়, সেরকম অপশন বাছুন। অতিরিক্ত গদিওয়ালা চেয়ার কিনবেন না। এগুলো দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার জন্য আদর্শ নয়।
৫. টেবিল-চেয়ার ছাড়াও আশেপাশে কিছু এক্সট্রা স্টোরেজ ড্রয়ার্স রাখতে পারেন। এতে কাগজপত্র গুছিয়ে রাখতে সুবিধে হবে।
৬. দরকারি টুকিটাকি জিনিসপত্র, যেমন পেন, স্টেপলার, কাঁচি, স্টিকি নোট, হাইলাইটার, মার্কার ইত্যাদি জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার জন্য ছোটছোট বক্স ব্যবহার করতে পারেন।
৭. অবশ্যই একটা ভাল টেবিল ল্যাম্প রাখুন। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের আলো সরাসরি চোখে গেলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই ওয়ার্ক স্পেসে যথাযথ আলোর ব্যবস্থা থাকা দরকার।
৮. স্পেস নিয়ে সমস্যা থাকলে কোনও একটা জানলার কাছে বসে কাজ করতে পারেন। এতে আলো নিয়ে সমস্যা হবে না। টেবলের নিচে কিছু স্টোরেজ বক্স রেখে দিন।
৯. জানলার ওপর রাখুন ছোট এয়ার পিউরিফাইং প্ল্যান্টস, মোটিভেশনাল ফ্রেমস। তৈরি আপনার ওয়র্কস্টেশন।
১০. বেডরুম থেকে ওয়ার্ক স্পেস যত দূরে থাকে, ততই ভাল। ওয়র্করুমের আলাদা দরজা থাকলে আরও ভাল। কাজ করার সময় যে দেওয়ালের দিকে মুখ করে বসছেন, সেই দেওয়ালে কোনও দরজা না থাকাই ভাল।
বাড়িতে ওয়ার্ক স্পেস বানাতে হলে এই টিপসগুলো মনে রাখুন। দেখবেন, কাজ করতে বাড়তি এনার্জি ও আগ্রহ পাবেন!
মতামত দিন