শিল্পাচার্য ১৯৪০-এর দশকের দুর্ভিক্ষের চিত্র আঁকার জন্য বিশ্বখ্যাত
বুধগ্রহে এখন পর্যন্ত ৭৬৩টি গহ্বর আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে একটি গহ্বরের নাম বাংলাদেশের চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীনের নামানুসারে রাখা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন ২০০৯ সালে গহ্বরটির নাম জয়নুল আবেদীনের নামে ''আবেদিন" করে।
বুধ গ্রহের বিভিন্ন গহ্বরগুলোকে মানবতার অবদানের জন্য সম্মান জানাতে বিশ্বের মহান শিল্পী, সংগীতজ্ঞ এবং লেখকদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। নামগুলোর মধ্যে রয়েছে ইয়েটস, বাচ, বালজাক, বিথোভেন এবং পাবলো নেরুদা। এই তালিকায় বাংলাদেশের সেরা শিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনও রয়েছেন।
শিল্পাচার্য ১৯৪০-এর দশকের দুর্ভিক্ষের চিত্র আঁকার জন্য বিশ্বখ্যাত। তার সর্বাধিক বিখ্যাত দুটি সৃষ্টি ''সংগ্রাম'' এবং ''দুর্ভিক্ষ ১৯৪৩''।
১৯১৪ সালে ব্রহ্মপুত্র নদীর নিকটবর্তী ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করা এই শিল্পী বাংলাদেশের আধুনিক শিল্প আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং তাকে ''বাংলাদেশে আধুনিক শিল্পের জনক'' বলা হয়।
তিনি ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট-এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন, যা পূর্বে সরকারি কলা ও কারুশিল্প ইনস্টিটিউট নামে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
আবেদিন নামক গর্তটি বুধ গ্রহে নাসার "ম্যাসেঞ্জার" যানটি আবিষ্কার করে। নাসার ফটো জার্নাল জানিয়েছে, ২০০৮ সালের অক্টোবরে দ্বৈত ইমেজিং সিস্টেমের (এমডিআইএস) ন্যারো অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা (এনএসি) দিয়ে গর্তটির ছবি সংগ্রহ করা হয়।
পরিমাপ অনুসারে, আবেদিন গহ্বরের দৈর্ঘ্য ১১০ কিলোমিটার এবং উচ্চতা ২২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার।
মতামত দিন