ইন্দোনেশিয়ায় পশ্চিম পাপুয়ার একটি গ্রামে প্রায় ৩০০’র মতো কুমির হত্যা করা হয়েছে। জানা গেছে, কুমিরের আক্রমণে এক ব্যক্তি প্রাণ হারালে তার হত্যার প্রতিশোধ নিতেই গ্রামবাসীরা কুমির-খামারের সবগুলো কুমির মেরে ফেলেন ।
ইন্দনেশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ অ্যাজেন্সির প্রধান বাসার মানুল্যাং জানান, ৪৮ বছর বয়সী সেই ব্যক্তি পশু-খাদ্যের জন্য ঘাস সংগ্রহ করতে একটি কুমিরের খামারে প্রবেশ করেন। ঘাস সংগ্রহের এক পর্যায়ে সেখানে একটি কুমির এসে তাকে আক্রমণ করে। একজন করমচারী সাহায্যের জন্য তার আর্তচিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে আসলে তাকে সেখানে মৃত অবস্থায় পায়।
শনিবার মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য শেষে গ্রামবাসীরা কুমিরের খামারে প্রবেশ করে ছুরি, হাতুরি, মুগুর দিয়ে ২৯২টি কুমির হত্যা করেন।
মানুল্যাং জানান, ২০১৩ সালে খামারটিকে সংরক্ষিত মেঠোপানির কুমির আর নিউ গিনি কুমিরের চাষের জন্য এবং অন্যান্য পশু-পালনের জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়।
লাইসেন্স দেবার শর্তাবলীর মধ্যে একটি ছিল এই সরীসৃপগুলো যেন কোনভাবেই গ্রামের অধিবাসীদের কোনরূপ ক্ষতিসাধন না করতে পারে সেদিক কড়া নজর রাখা।
ভবিষ্যতে এ ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে লাইসেন্সধারী ফার্মের কর্তাদের খামারের আশপাশ আরও সুরক্ষিত করতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে অ্যাজেন্সিটি পুলিশকে তদন্তে সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন অ্যাজেন্সি প্রধান মানুল্যাং। তার মতে, কুমিরও ঈশ্বরের সৃষ্টি। তাই এদের সুরক্ষিত রাখাও আমাদের কর্তব্য।