স্বামীর কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে খোদ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। খুব দূরে নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গেই ঘটেছে এমন ঘটনা।
জানা যায়, ভুক্তভোগী দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা উত্তম মাইতি একটি বেসরকারি সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা। ২০১১ সালে জুঁই সাহার সঙ্গে তার পরিচয়সূত্রে প্রেম এবং পরে বিয়ে হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) আলিপুর আদালত চত্বরে উত্তম জানান, ২০১৬ সালে জুঁইয়ের মা অসুস্থ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেসময় তার মায়ের দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে তার স্ত্রী তাকে জানান।
তিনি বলেন, “শাশুড়ি আর আমার ব্লাড গ্রুপ এক। তাই মাকে বাঁচাতে জুঁই আমার কিডনি চেয়ে চাপ দিতে থাকলে শাশুড়িকে একটি কিডনি দান করতে রাজি হই।”
তিনি আরও বলেন, “শাশুড়িকে কিডনি দান করার কয়েকসপ্তাহ পর থেকেই সাংসারিক নানাবিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে ঝগড়া করে মাঝে-মধ্যে বাপেরবাড়ি চলে যেতো আমার স্ত্রী। এরপর ২০১৮ সালের আগস্টে দুই মেয়েকে রেখে স্থায়ীভাবে সেখানে চলে যায় সে।’’
এরপর মাস দু’য়েক আগে স্ত্রীর ব্যবহৃত আলমারি থেকে একটি ফাইল খুঁজে পান উত্তম। তাতে নিজের ছবির নিচে তিনি দেখেন সেখানে লেখা রয়েছে সাবির আহমেদ এবং সেই সাবির এক নারীকে কিডনি দান করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
সব নথি খতিয়ে দেখে উত্তম জানতে পারেন, তার শাশুড়ির কিডনি আদৌ নষ্ট হয়নি। মা ও মেয়ে মিলে ভুয়া নামে তার কিডনি সাড়ে ৩ লাখ রুপিতে বিক্রি করে দিয়েছেন।
ফোনে উত্তম মাইতির স্ত্রী জুঁইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কোনভাবেই জোর করে কিডনি বিক্রি করা হয়নি। উত্তম নিজের ইচ্ছায় ওই কিডনি বিক্রি করেছে। আমার মা এবিষয়ে সব কিছু জানেন। আমি ওই কিডনি বিক্রি করিনি। সংসারে আর্থিক অনটনের জন্যই আমি বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি।’’
উত্তম মাইতির আইনজীবীদের অভিযোগ, ওই হাসপাতালে একাধিকবার উত্তমকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই ভুয়া নথি তৈরি করে তার কিডনি বিক্রি করা হয়েছে।