ভারতের আসাম রাজ্যের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার (৩১ আগস্ট) প্রকাশিত ওই তালিকা থেকে ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ বাদ পড়েছেন ।
তালিকা প্রকাশের দিনই টুইটারে দেওয়া পোস্টে আসামের নাগরিক তালিকাকে অভিসন্ধিমূলক ‘ব্যর্থ নাটকীয়তা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন মমতা। তার দল তৃণমূলের দাবি, নাগরিক তালিকার নাম করে বাংলাভাষীদের আসাম থেকে তাড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।
টুইটে মমতা বলেন, “নাগরিক তালিকা নিয়ে যারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছিল, তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরসি। দেশকে জবাব দিতে হবে তাদের। দেশ ও সমাজের স্বার্থ পরিহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ করলে এমনটাই ঘটে।”
The NRC fiasco has exposed all those who tried to take political mileage out of it. They have a lot to answer to the nation.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 31, 2019
This is what happens when an act is guided by an ulterior motive rather than the good of the society and the larger interest of the nation.(1/2)
এদিকে আসামের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও ‘বাংলাদেশি মুসলমানদের’ তাড়াতে নাগরিক তালিকা তৈরির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার দাবি, ভোটব্যাংক ধরে রাখতে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি মুসলমানদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস।
তিনি বলেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে ‘বাংলাদেশি মুসলমানদের’ তাড়াতে পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিক তালিকা করা হবে। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে হিন্দু শরণার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে বিজেপি।”
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমাদের দাবি, আসামের মতো পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিক তালিকা চালু করা হোক। আর তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার যদি একাজ করতে ইচ্ছুক না হয়, আমরাই এটা কার্যকর করবো।”
আরও পড়ুন: আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় নেই ১৯ লাখ আবেদনকারী
আরও পড়ুন: আসামে নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়াদের সামনে যে পথ খোলা