রবিবার আমেরিকাকে হুমকি দিয়েছিলেন ইরান প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। বলেছিলেন সিংহের লেজে পা দেবেন না, তা হলে পস্তাতে হবে। ট্রাম্পও যে চুপ করে থাকার পাত্র নন অন্তত কিম জং উনের সঙ্গে তাঁর বাকযুদ্ধ সেটাই প্রমাণ করে এসেছে। এই দফাও রৌহানিকে জবাব দিয়েছেন ট্রাম্প তাঁর ভাষাতেই। টুইট করে পাল্টা হুমকি দিলেন, ‘ইতিহাস মনে আছে তো! যদি মনে থাকে তা হলে ভুল করেও আমেরিকাকে চোখ রাঙানোর দুঃসাহস না দেখানোই ভাল'।
To Iranian President Rouhani: NEVER, EVER THREATEN THE UNITED STATES AGAIN OR YOU WILL SUFFER CONSEQUENCES THE LIKES OF WHICH FEW THROUGHOUT HISTORY HAVE EVER SUFFERED BEFORE. WE ARE NO LONGER A COUNTRY THAT WILL STAND FOR YOUR DEMENTED WORDS OF VIOLENCE & DEATH. BE CAUTIOUS!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) July 23, 2018
উত্তর কোরিয়াকে কেন্দ্র করেই ইরানের সঙ্গে আমেরিকার বিরোধ চরমে ওঠে। কিম জং-কে সমর্থনের বিষয়টা ভাল ভাবে মেনে নিতে পারেনি আমেরিকা। শুরু হয় ঠান্ডা কূটনৈতিক লড়াই। এরপর বাণিজ্যিক লড়াই। ইরানের পরমাণু প্রকল্প সম্পর্কিত চুক্তি থেকেও আমেরিকা সমর্থন তুলে নেয়। এমনকি, তেল নিয়েও দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ঠাণ্ডা যুদ্ধ। কিন্তু সেই বিরোধ ধীরেধীরে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
গত মাসেই রৌহানি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইরান যদি তেল রফতানি করতে না পারে তা হলে ওই অঞ্চল থেকে তেলরফতানির রাস্তাই বন্ধ করে দেবেন। সেই সাথে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল সরবরাহ করার মূল পথ হরমুজ প্রণালীকেও বন্ধ করে দিতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরান প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “ইরানের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখলে সব শান্তিতে থাকবে, আর যুদ্ধ চাইলে ইরানের থেকে ভয়ঙ্কর কেউ নয়।”
ইরান এটাও জানায়, যে ভাবে আমেরিকা ইরানকে কোণঠাসা করার জন্য অন্য দেশগুলোকে উসকাচ্ছে তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই ক্ষোভের সুরে বলেন, “আমেরিকা পরমাণু চুক্তির শর্ত মানতে চায়নি।” পাশাপাশি এটাও জানান, আমেরিকাকে কখনও ভরসা করা উচিত নয়। চুক্তিতে সই করার পরেও সমর্থন তুলে নেয় তারা। সুতরাং আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা চালানোর কোনও প্রয়োজনই নেই।
মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও ইরানের ধর্মীয় নেতাদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ করে বলেন, নিজেরা ধনী হচ্ছেন দিনে দিনে, আর দেশবাসীকে তার ফল ভুগতে হচ্ছে। গত ৪০ বছর ধরে ইরানিরা একটা নৈরাজ্যের মধ্যে বাস করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যদিও পম্পে-এর এই বক্তব্যকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে রৌহানি বলেন, “ইরানের মানুষকে এ ভাবে উসকাতে পারবেন না। তাঁরা নিজেদের নিরাপত্তা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।”