শিক্ষা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে আগামী ২০২১ সাল থেকে স্কুলগুলোতে পরীক্ষা ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এমন খবর জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ভারতীয় জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটির এক প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতির আধুনিকীকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। এই পদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে ১৯৬৮ সাল থেকে চলে আসা প্রথাগত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষানীতি কমিটির এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে সবধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে ভারত সরকার, যাতে ২০২১-এর শুরু থেকেই এর প্রয়োগ সম্ভব হয়।
ভারতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “কমিটি প্রস্তাবিত নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়ে পরামর্শ ও মতামত চেয়ে আমরা শিগগিরই বোর্ডগুলোকে নোটিস পাঠাবো। বোর্ড ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামত অনুযায়ী পুরনো পদ্ধতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়। আর ২০২১ থেকেই প্রস্তাবিত পদ্ধতির বাস্তবায়ন শুরু হবে।”
সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষাবিদ ও একাধিক বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
জেমস আওয়ার ওন ইন্ডিয়ান স্কুল-এর প্রিন্সিপ্যাল ও সিইও লালিথা সুরেশ জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানে নিম্ন-প্রাথমিক (লোয়ার প্রাইমারি) শ্রেণীগুলোতে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয় না। সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে, “শিক্ষার্থীরা ভাসা-ভাসা জ্ঞানার্জন নয় বরং আরও বিস্তারিত জানতে সক্ষম হবে,” বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে হাতে-কলমে শিখতে পারে আমাদের সেদিকে মনোযোগী হতে হবে। যাতে করে তারা উপলব্ধ জ্ঞানের বাস্তবিক প্রয়োগে সক্ষম হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এখন বোর্ডগুলো কীভাবে এই পদ্ধতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারে সেটা দেখার জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।