চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভারতের বনগাঁ এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে আসমা ইসলাম (৩৬) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
তিনি যশোরের আরবপুর পাওয়ার হাউজপাড়া এলাকার শাহানুর ইসলামের স্ত্রী। থাকতেন যশোর সদরের নওদাগাঁ এলাকার জনৈক মঞ্জু নামে এক শিক্ষকের বাড়িতে।
আসমা ইসলামের মেয়ে মিশুর অভিযোগ, নওদাগাঁ এলাকার ড্রাইভার আবুল কাশেম তার মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) তার মা ও খালা মনোয়ারা বেগম চিকিৎসার জন্যে ভারতে যান। তারা ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ এলাকার বাটা মোড়ে হোটেল শ্যামাপ্রসাদে ছিলেন। ওই হোটেলের একটি কক্ষে তার মা ও নওদাগাঁ এলাকার ড্রাইভার আবুল কাশেম এবং অপরকক্ষে তার খালা মনোয়ারা বেগম ছিলেন। ১৬ তারিখ সকালে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে হোটেল কর্মচারী আসমাকে মৃত অবস্থায় পান। তখন আবুল কাশেম সেখানে ছিলেন না। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, ১৭ জানুয়ারি যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে তার মায়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম এই প্রতিনিধিকে বলেন, “শুক্রবার তার স্বজনরা এসেছিলেন। আমি তাদের বলেছি, মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তারা বিজিবি ও আমাদের ইমিগ্রেশন পুলিশের সঙ্গে যেন যোগাযোগ করেন।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আবুল কাশেমই তাকে হত্যা করেছে কি না বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তথ্য প্রমাণ যদি আমাদের কাছে আসে, তবে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেবো।”
উল্লেখ্য, আসমা ইসলামের বাড়ি আরবপুর পাওয়ার হাউজ এলাকায় হলেও তারা যশোর সদরের নওদাগাঁ এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তার মেয়ে মিশু পুলিশকে জানিয়েছেন- একই এলাকার আবুল কাশেম তার মাকে উত্যক্ত করতেন।
তবে, স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, আসমার সঙ্গে আবুল কাশেমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। তারা ভারতে যাওয়ার আগেই কাশেম সেই হোটেলে উঠেছিলেন।