'প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউকে'র অবিরাম লড়াই এবং জোর দাবির ফল এই ইমোজি ব্যবহার করা যাবে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই
'এক ফোঁটা রক্ত'— পিরিয়ড বোঝাতে এখন থেকে এই বিশেষ ইমোজি ব্যবহার করা যাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্মার্টফোন এবং গ্যাজেটে ইমোজি সরবরাহকারী সংস্থা কোডিং কনসোর্টিয়াম ইউনিকোড এই ঘোষণা দিয়েছে।
নারীর কাছে পিরিয়ড একটি সাধারণ, নিয়মিত ব্যাপার। তবুও এই স্বাভাবিক ব্যাপারটা নিয়ে ট্যাবু কাটিয়ে উঠতে পারেননি অনেকেই। তাই এই ট্যাবু কাটিয়ে উঠতে বৈশ্বিকভাবে বিভিন্ন রকমের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তারই একটা অংশ এই পদক্ষেপ।
পিরিয়ড নিয়ে খোলাখুলি কথা না বলায় শারীরিক তো বটেই, সামাজিকভাবেও যেই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, সে সংক্রান্ত ট্যাবু কাটিয়ে ওঠার জন্য এখন এই অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে কোডিং কনসোর্টিয়াম ইউনিকোড। মাসিক সংক্রান্ত ট্যাবু কাটিয়ে উঠতে এ বার তাই বিভিন্ন স্মার্টফোন এবং ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটস-এ যোগ হতে যাচ্ছে পিরিয়ডসের জন্য বিশেষ ইমোজি। এই ইমোজি পিরিয়ড নিয়ে ট্যাবু কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
কোডিং কনসোর্টিয়াম ইউনিকোডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এই ঘটনাকে অনেকেই পিরিয়ড এবং নারী স্বাস্থ্য নিয়ে লড়াই করে চলা সংস্থাদের জয় হিসেবেই দেখছেন।
তবে এই জয়ের গাথা খুব সহজে লেখা হয়নি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শিশু দাতব্য সংস্থা 'প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউকে'র অবিরাম লড়াই এবং জোর দাবির ফলাফল হিসেবে এই ইমোজি অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হয়েছে কোডিং কনসোর্টিয়াম ইউনিকোড সংস্থাকে।
We are thrilled to announce that we are actually getting a #PeriodEmoji!
— PlanInternational UK (@PlanUK) February 6, 2019
It is through your support that we can now celebrate that the @unicode have announced that we will get our first ever #PeriodEmoji in March 2019 🎊
Find out more here ▶https://t.co/dKd4WwEShX pic.twitter.com/CdyG5fapAx
পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে এখনও বেশির ভাগ নারীই কথা বলতে রাজি না। ফলে পিরিয়ড সংক্রান্ত জটিলতা পরবর্তীতে পরিণত হয় নানা রকম দূরারোগ্য ব্যধিতে। আর এ সংক্রান্ত সমস্যাসমূহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও প্রবল। এবার তাই এই ইমোজির সাহায্যে সেই নীরবতা ভেঙে ফেলা সম্ভব হবে বলে মনে করছে এই সংস্থা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এই পদক্ষেপকে বেশির ভাগ মানুষ স্বাগত জানালেও, এ নিয়ে এরইমধ্যে বিতর্কও শুরু হয়ে গেছে কোনও কোনও মহলে। কেউ আবার সন্দেহ পোষণ করছে এই ইমোজি ব্যবহারিক কার্যকারিতা কতটা উপকারী হবে তা নিয়ে। তাদের মতে এরচেয়ে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে তাতে পিরিয়ডের সময় নারীরা আরও বেশি উপকৃত হত।
তবে, আলোচনাগুলো এই ইমোজি ব্যবহারের পক্ষে হোক কি বিপক্ষে, পিরিয়ড সংক্রান্ত সবরকম ট্যাবু ভেঙ্গে ফেলাই সবার উদ্দেশ্য।
মতামত দিন