বিষয়টাতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে পাকিস্তানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পাকিস্তান হিন্দু সেবা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে দুই হিন্দু নাবালিকা বোনকে অপহরণ করে, ধর্মান্তর করিয়ে, জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিচারকার্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছে। এ ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ইসলামাবাদে ভারতের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে পুরো ঘটনার প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছেন।
I have asked Indian High Commissioner in Pakistan to send a report on this. @IndiainPakistan
— Chowkidar Sushma Swaraj (@SushmaSwaraj) March 24, 2019
Two Hindu girls abducted on Holi eve in Pakistan's Sindh https://t.co/r4bTBSoy9d via @TOIWorld
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রানুসারে, দুই নাবালিকাদের একজন ১৩ বছরের, অন্যজন ১৫ বছরের। তাদের বাড়ি সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলায়। হোলির দিন সন্ধ্যায় কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী জোর করে তাদের বাড়িতে ঢুকে যায়। সেসময় তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলেও জানা যায়। এরপর সেই আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে দুই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার পরেই সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তাতে দেখা যায়, দুই বোনেরই তাদের চেয়ে বয়সে অনেক বড় পাত্রের সঙ্গে নিকাহ (বিয়ে) দেওয়া হচ্ছে। এর পরে আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় যেখানে সেই দুই বোনকে বলতে শোনা যায়, তারা স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছে। এমনকি, বিয়ে করতেও তাদের কেউ জোর করেনি।
ভিডিওতে তাদেরকে দিয়ে জোরপূর্বক এসব কথা বলানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাকিস্তানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পাকিস্তান হিন্দু সেবা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি সনজেশ ধনজা জানান, সিন্ধু প্রদেশে এই ঘটনা নতুন নয়। প্রায়ই হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করে ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়। তার পর অনেক বেশি বয়সের পুরুষের সঙ্গে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টাতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আগে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন তিনি। এসময় তিনি দাবি করেন, সংখ্যালঘুরা পাকিস্তানে নিরাপদে রয়েছেন, পাক প্রধানমন্ত্রীকে তার প্রমাণ দিতে হবে।
ধনজা আরও জানান, এ ঘটনার পরপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায় তাদের ভাই। সেই অভিযোগে জানানো হয়েছে, কিছু দিন আগে বাবার সঙ্গে অভিযুক্তদের বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। এরপর হোলির দিন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তারা বাড়িতে হাজির হয়ে জোর করে তার দুই বোনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করা নিয়ে অনেক আগে থেকেই সরব পাকিস্তানের মুসলিম লিগের সদস্য নন্দকুমার গোখলানি। যত দ্রুত সম্ভব এর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করতে পাক প্রশাসনকে তার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনিও।
মতামত দিন