স্থানীয় ১০টি পত্রিকায় প্রকাশিত ওই বিজ্ঞাপনে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে কাশ্মীরের জনগণকে এগিয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে অস্বীকার করার পর অবশেষে কাশ্মীরে চলমান অচলাবস্থার কথা স্বীকার করেছে কাশ্মীর প্রশাসন। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) একযোগে ১০টি স্থানীয় পত্রিকায় পুরো পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে কাশ্মীর প্রশাসন চলমান অচলাবস্থা কাটাতে স্থানীয় জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বলে স্ক্রল ইন- এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়।
চলমান অচলাবস্থায় কার লাভ হচ্ছে সে প্রশ্ন বিজ্ঞাপনের শুরুতেই রাখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, "দোকানপাট বন্ধ। কোনো গণপরিবহন নেই? কারা লাভবান হচ্ছে?"
অথচ গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ও জম্মু-কাশ্মীর সরকার কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে বলে দাবি করে আসছিল।
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, "৭০ বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণকে ভুল পথে পরিচালিত করা হচ্ছে। অসৎ প্রচারণার শিকার হয়ে উপত্যকার মানুষদের সন্ত্রাস, সহিংসতা, ধ্বংস ও দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে আবদ্ধ থাকতে হয়েছে।"
"বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের নিজেদের সন্তানদের পড়াশোনা ও চাকরির জন্য বিদেশে পাঠায়। কিন্তু সাধারণ পরিবারের সন্তানদের ঠেলে দিচ্ছে সংঘাতের পথে। আমরা কি এটা সহ্য করব?", প্রশ্ন রাখা হয় ওই বিজ্ঞাপনে।
যদিও, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সবাই হয় গৃহবন্দি নয় জেলে রয়েছেন। কাজেই তাদের পক্ষে কাশ্মীরজুড়ে অচলাবস্থা সৃষ্টির ডাক দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
কাশ্মীরের জনগণকে যেকোনো একটি পথ বেছে নেওয়ার আহ্বান বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, "সময় এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার। আমরা কি বহু বছর ধরে চলতে থাকা এই সহিংসতাকে আমাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে দেব? নাকি আমরা নিজেদের ভালোর জন্য সঠিক তথ্য বেছে নেব সেই সিদ্ধান্ত আমাদেরই নিতে হবে। কাশ্মীর আমাদের বাড়ি। নিজেদের সমৃদ্ধির কথা আমাদেরই ভাবতে হবে। ভয় কিসের?"
উল্লেখ্য, গত মাসেও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ‘সুবিধা’ বর্ণনা করে বেশ কয়েকটি স্থানীয় ৫টি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। সেসময় কাশ্মীর সরকারের তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, এই ধরনের বিজ্ঞাপন আরও ১০টি স্থানীয় পত্রিকায় পর্যারক্রমে প্রচার করা হবে এখন থেকে।
মতামত দিন