করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে নাগরিকদের চলাচল সীমিত এবং সীমান্তেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইউরোপের দেশগুলো
চীনের পর করোনাভাইরাসের ভয়াবহ থাবার কবলে পড়েছে ইউরোপ। ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সে একদিনে ৪৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সব মিলিয়ে দেশটিতে ১ হাজার ৮০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্পেনে একদিনে ৯৭জন মারা যাওয়ার পর প্রাণহানির সংখ্যা হয়েছে ২৮৮ জন। আর ফ্রান্সে একদিনে ২৯জন মারা গেছে। সবমিলে মোট প্রাণহানি হল ১২০ জন মানুষের।
যুক্তরাজ্যেও একদিনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে ১৪জন মারা যাওয়ায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫জনে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ইউরোপের সরকারগুলো নাগরিকদের চলাচল সীমিত করেছে এবং সীমান্তেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
সোমবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক ও লুক্সেমবার্গের সাথে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে জার্মানি। স্পেনের সাথে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দিয়েছে পর্তুগাল।
নাগরিকদের চলাচল সীমিত করেছে চেক রিপাবলিক সরকার। দেশটি ঘোষণা দিয়েছে যে, জনগণ কাজে যাওয়া ও ফেরা, খাবার বা ওষুধ কেনা এবং জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে আত্মীয়দের বাড়িতে যেতে পারবে। এছাড়া স্থানীয় সময় রবিবার মধ্যরাত থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত অন্য যেকোনও ধরনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার থেকে একসঙ্গে ৫জনের বেশি মানুষের সমাগম নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রিয়া। ইউরোপের অনেক দেশেই স্কুল বন্ধ রয়েছে।
মতামত দিন