জার্মান অ্যাসোসিয়েশন অব মেশিন অ্যান্ড প্লান্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এর রোবোটিকস অ্যান্ড অটোমেশন বিভাগের প্রধান প্যাট্রিক সোয়ার্জকফ মনে করেন, রোবটের একটি সুবিধা হচ্ছে করোনাভাইরাস মেশিনকে আক্রান্ত করতে পারে না!
করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট মহামারি জার্মানির প্রায় সব শিল্পকারখানা জনশূন্য করে ফেলেছে৷ আর এই কঠিন সময়ে হাজার হাজার মেশিনকে অন্তত কিছু কারখানা সচল রেখেছে কিংবা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার পর দ্রুতই আবার উৎপাদন শুরু করতে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত রয়েছে৷ এক প্রতিবেদনে জার্মান সংবাদসংস্থা ডয়চে ভেলে একথা জানায়।
জার্মান অ্যাসোসিয়েশন অব মেশিন অ্যান্ড প্লান্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স (ভিডিএমএ)-র রোবোটিকস অ্যান্ড অটোমেশন বিভাগের প্রধান প্যাট্রিক সোয়ার্জকফ্ মনে করেন, রোবটের একটি প্রাকৃতিক সুবিধা রয়েছে৷ আর তাহচ্ছে করোনাভাইরাস মেশিনকে আক্রান্ত করতে পারে না৷
সোয়ার্জকফ্ অবশ্য এটাও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, আরো বহুবছর শিল্পকারখানায় “মানুষ কর্মী” অপরিহার্য থাকবে৷
যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অটোমেশন খাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, রোবটগুলো এখনো কারখানায় মানুষের সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে৷ অর্থাৎ, পুরোপুরি রোবটকেন্দ্রিক কারখানার বদলে কাজের ধরন এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে রোবট ও মানুষ সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারে৷
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রোবটিকস (আইএফআর)-এর সুসানে বিলার অবশ্য রোবটের ব্যবহার শীঘ্রই বাড়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী৷
তিনি মনে করেন, করোনা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা তোলার পর বেশি করে রোবট ব্যবহার করে দোকানপাটে মানুষ কর্মীর ব্যবহার কমিয়ে ফেলা সম্ভব৷ এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যেমন সহজ হবে, তেমনি মানুষের সঙ্গে মানুষের স্পর্শও কমানো যাবে৷ তিনি এমনকি প্রতি দ্বিতীয় কর্মক্ষেত্রে আপাতত একটি রোবট বসানোর সম্ভাবনা দেখছেন৷
করোনা মহামারির মতো পরিস্থিতিতে রোবট যে কতটা সহায়ক হতে পারে, তার আরেকটি নজির সৃষ্টি করেছে জার্মানির দু'টি কোম্পানি৷ তারা সম্মিলিতভাবে রোবট ব্যবহার করে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি পুরোপুরি অটোমেটিক উৎপাদন প্রক্রিয়া গড়তে সক্ষম হয়েছে৷ আর এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে জার্মানিতে দ্রুত ফেসমাস্ক তৈরি সম্ভব হচ্ছে৷
মতামত দিন