সে জানিয়েছে, ৫০টি হত্যাকাণ্ডের পর সে সংখ্যা ভুলে গেছে এবং হত্যাকাণ্ডের সঠিক সংখ্যা মনে রাখা তার জন্য কষ্টকর
দিল্লিসহ আশেপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক রোগীকে হত্যার অভিযোগে এক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বুধবার (২৯ জুলাই) দিল্লি থেকে দেভেন্দর শর্মা (৬২) নামে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর পালিয়ে ছিল সে।
এর আগে, উত্তর প্রদেশে ভুয়া গ্যাস এজেন্সি চালানোর অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর বিভিন্ন ভারতের প্রদেশে কিডনি পাচারের দায়ে তার কারাদণ্ডও হয়েছিল।
ভারতীয় পুলিশের ধারণা, শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যায় জড়িত থাকতে পারেন দেভেন্দর। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে মামলা করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ৫০ ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।
সে জানিয়েছে, ৫০টি হত্যাকাণ্ডের পর সে সংখ্যা ভুলে গেছে এবং হত্যাকাণ্ডের সঠিক সংখ্যা মনে রাখা তার জন্য কষ্টকর।
আয়ুর্বেদিক মেডিসিনে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী দেভেন্দরের বাড়ি উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে।
২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে একাধিক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৭টিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
ভারতীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, “যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে ১৬ বছর কারাভোগের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে জয়পুরের সেন্ট্রাল জেল থেকে ২০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিল সে। কিন্তু সে পালিয়ে একটি গ্রামে লুকিয়ে ছিল এবং গত মার্চে সে দিল্লিতে চলে আসে।”
মতামত দিন