হোয়াইট হাউজের কাছে গুলি, সরিয়ে নেওয়া হলো ট্রাম্পকে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি প্রেস কনফারেন্সে কথা বলার সময় হোয়াইট হাউজের পাশে এক অস্ত্রধারীকে গুলি করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউজে একটি প্রেস কনফারেন্সে কথা বলছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কথার মধ্যেই হঠাৎ তার নিরাপত্তারক্ষীদের একজন স্টেজে উঠে এলেন এবং ফিসফিস করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানে কিছু একটা বললেন।

এরপরই সংবাদ সম্মেলন থেকে হঠাৎ করে সরিয়ে নিয়ে যান সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা। এ সময় ট্রাম্পকে “কি হয়েছে?” বলতে শোনা যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এরপর পুরো হোয়াইট হাউজ লকডাউন করে দেওয়া হয়। সকল প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার ৯ মিনিটের মাথায় ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে ফিরে আসলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়।

সেখানে আসা সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি যতদূর বুঝলাম, সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হোয়াইট হাউজের পাশে অস্ত্রধারী কাউকে গুলি করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “কাউকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।” তবে যাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তার অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানেন না।

সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে পরে এক টুইট বার্তায় জানানো হয়, “সিক্রেট সার্ভিস নিশ্চিত করছে যে একটি গুলির ঘটনা ঘটেছে। একজন পুরুষ সন্দেহভাজন এবং সিক্রেট সার্ভিসের একজন সদস্য দুজনকেই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

সিক্রেট সার্ভিস নিশ্চিত করছে যে হোয়াইট হাউজের কমপ্লেক্সে কেউ প্রবেশ করতে পারেনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলছেন, ওই সন্দেহভাজন তার প্রতি কোনো খারাপ মনোভাব পোষণ করেন কিনা সেটা তিনি জানেন না।

“আমার সাথে এর কোনো সম্পর্কে নাও থাকতে পারে,” সাংবাদিকদের বলেন তিনি।

একজন সাংবাদিক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন কিনা। জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমাকে দেখে কি মনে হচ্ছে আমি ভয় পেয়েছি?”

সংবাদ সম্মেলনটি ঠিক কি নিয়ে সে সম্পর্কে পরিষ্কার বোঝা না গেলেও আলোচনার বিষয় ঘটনার পর পুরোটা ঘুরে যায়।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান কিছুক্ষণের জন্য তাকে তার কার্যালয় “ওভাল অফিসে” নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

শহরের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে গুলিতে আহত ব্যক্তির অবস্থা সংকটাপন্ন।