১০ ডিসেম্বর মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উপদেষ্টারা ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন জরুরিভিত্তিতে প্রদান করা যাবে কিনা তা নিয়ে আলোচনায় বসবে
আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করা হতে পারে। রবিবার (২২ নভেম্বর) মার্কিন সরকারের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কর্মসূচীর প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. মনসেফ সেলাওই নামের ওই উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে বলেন, ভ্যাকসিনটি অনুমোদন পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে পৌঁছে যাবে।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উপদেষ্টারা ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন জরুরিভিত্তিতে প্রদান করা যাবে কিনা তা নিয়ে আলোচনায় বসবে।
শরীরে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিওবডি তৈরি করতে ফাইজারের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটি বড় কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ৯৫ শতাংশ কর্যকর বলে জানা গেছে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ ডোগ উৎপাদনের আশা করছে ফাইজার।
মনসেফ সেলাওই বলেন, বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যা বিবেচনা করে ভ্যাকসিনটি সরবরাহ করা হবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী, করোনাভাইরাস রোধে কাজ করা সম্মুখ যোদ্ধা ও বয়স্কদের প্রথমে ভ্যাকসিনটি দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের জন্য ৭০ শতাংশ মানুষকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দিতে হবে। আগামী বছরের মে মাসের মধ্যেই এ লক্ষ্যে পৌঁছানো যেতে পারে।
করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৩ জন। আর ২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৫ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
মতামত দিন