মোহসিন ফখরিযাদে ইরানের সবচেয়ে খ্যাতিমান পরমাণু বিজ্ঞানী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান। তিনি ইরানের রেভরল্যুশনারি গার্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ছিলেন
ইরানের সবচেয়ে প্রবীণ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফখরিযাদে রাজধানী তেহরানের কাছে আততায়ীর হামলায় নিহত হয়েছেন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে।
দামাভান্দ এলাকায় হামলার পর ফখরিযাদে হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। তেহরানের কাছে দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্ড এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এখবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান মোহসিন ফখরিযাদেকে নিয়ে যে গাড়িটি যাচ্ছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেই গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। তার দেহরক্ষী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে এরপর সংঘর্ষ হয়। এতে ফখরিযাদে গুরুতরভাবে আহত হন এবং দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান।”
পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে ইরানের গোপন পরমাণু কর্মসূচির পেছনে প্রধান মাথা বলে মনে করে। এবং মনে করে দেশটির গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে ফখরিযাদে মূল ভূমিকা রাখছেন।
এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ যারিফ এই ঘটনাকে "সন্ত্রাসী কাজ" বলে বর্ণনা করে ইসরায়েল জড়িত থাকার দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, “এই কাপুরুষোচিত কাজ যেখানে ইসরায়েলি ভূমিকার গভীর ইঙ্গিত আছে, প্রমাণ করছে আততায়ীরা যুদ্ধের জন্য মরিয়া।”
ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে। এরই মধ্যে এই হত্যার ঘটনা ঘটলো।
ইরানের রেভরল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের যথাযথ প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
কে এই মোহসিন ফখরিযাদে?
মোহসিন ফখরিযাদে ইরানের সবচেয়ে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান। তিনি ইরানের রেভরল্যুশনারি গার্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ছিলেন।
তাকে কূটনীতিকরা "ইরানে বোমার জনক" বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
মতামত দিন