ট্রাম্প বুধবার (৬ জানুয়ারি) একাধিক টুইট করেন যেখানে ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীদের ‘দেশপ্রেমিক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) টুইটার থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। কোম্পানিটি বলছে, "ভবিষ্যতে সহিংসতা উস্কে দেবার ঝুঁকি" থাকার কারণে এটা করা হয়েছে।
টুইটার জানায়, "@realDonaldTrump অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট গুলো গভীর পর্যবেক্ষণ এবং সেটাকে ঘিরে যে প্রেক্ষাপট তৈরি" হয়েছে তার ভিত্তিতে তারা এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। এর আগে, ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি টুইটার কর্তৃপক্ষ ১২ ঘণ্টার জন্য অচল করে রেখেছিল।
টুইটার তখন সতর্ক করে বলেছিল, তারা ট্রাম্পকে চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করবে যদি তিনি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মনীতি ভঙ্গ করেন।
এদিকে, ট্রাম্পের টুইট অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করার প্রতিক্রিয়ায় তার ২০২০ সালের ক্যাম্পেইন উপদেষ্টা জ্যাসন মিলার টুইট করেছেন, "জঘন্য, আপনি যদি ভাবেন তারা পরবর্তীতে আপনার দিকে আসবে না তাহলে আপনি ভুল করছেন।”
শুক্রবার সার্চ ইঞ্জিন গুগল সম্পূর্ণ মুক্ত মতামতের প্লাটফর্ম “পার্লার” স্থগিত করে, যেটা ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছিলো।
গুগল জানায়, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে যেসব পোস্ট, তেমন কিছু পার্লার অ্যাপ এ অনবরত পোস্ট করা হচ্ছে সে সম্পর্কে আমরা সতর্ক আছি।”
ট্রাম্প বুধবার (৬ জানুয়ারি) বেশ কিছু টুইট করেন যেখানে ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীদের "দেশপ্রেমিক" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।
ক্যাপিটল ভবনে সেদিন যা ঘটেছিল
মার্কিন আইনপ্রণেতারা বুধবার যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শতশত সমর্থক তখন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটলে ঢুকে পড়ে।
কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরেধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে। রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়, কিন্তু সান্ধ্য আইন শুরু হবার পরও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথে জটলা পাকাতে দেখা গেছে।
দুপুরের পরই দেশটির রাজধানীতে নাটকীয় দৃশ্যে দেখা যায়, শতশত বিক্ষোভকারী ভবনটিতে ঢুকে পড়ে আর পুলিশ কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। ওই দিনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
মতামত দিন