দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী জানান, ‘পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেমের ফ্রিকোয়েন্সিতে হঠাৎ বিপর্যয় ঘটায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে গোটা দেশ’
পাকিস্তানে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে মধ্যরাতের কয়েক মিনিট আগে থেকে পুরো দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যায়। শনিবার (৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতের আগে এঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী ওমর আইয়ুব এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদপত্র ডন।
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকঘণ্টা লেগে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
প্রথমদিকে করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ ও মুলতানের মতো বড় শহরগুলোর বাসিন্দারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আশপাশের সব জায়গায় বিদ্যুৎ না থাকার কথা জানাচ্ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেশটির অন্যান্য শহরের বাসিন্দারাও একই অভিযোগ জানাতে শুরু করে।
এর কয়েক ঘণ্টা পর রবিবার জ্বালানিমন্ত্রী আইয়ুব টুইটারে লেখেন, “পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেমের ফ্রিকোয়েন্সিতে হঠাৎ বিপর্যয় ঘটায় পুরো দেশ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।”
বিভিন্ন শহরে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনর্বহাল করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের অধিকাংশ এলাকা এখনও বিদ্যুৎবিহীন রয়ে গেছে।”
পাকিস্তানের জাতীয় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার ফ্রিকোয়েন্সি হঠাৎ করে ৫০ থেকে শূন্যে নেমে যাওয়ার কারণে এই বিদ্যুৎ বিপর্যয় বলে জানান তিনি।
ঠিক কী কারণে হঠাৎ করে ফ্রিকোয়েন্সি শূন্যে নেমে গেল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। টুইটারে তিনি লেখেন, “জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।”
এদিকে, ব্লাকআউট হওয়ার পরপরই টুইটারে #ব্ল্যাকআউট শব্দটি ট্রেন্ডিং হয়ে পড়ে। এনিয়ে ২০ হাজার টুইট হয়েছে।
এর আগেও ২০১৩ সালে ব্ল্যাকআউট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেসময় রাজধানী ইসলামাবাদসহ দেশের ৮০% অঞ্চল অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। ন্যাশনাল গ্রিড বসে যাওয়ার কারণে সেই ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল গোটা পাকিস্তানকে।
মতামত দিন