করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল ও মালদ্বীপসহ প্রতিবেশী দেশগুলোয় কয়েক মিলিয়ন ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে ভারত
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) ভারতের পাঠানো প্রায় দেড় মিলিয়ন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করে মিয়ানমার, যা দিয়ে প্রায় ৭৫০,০০০ লোককে টিকা দেওয়া সম্ভব। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর ভেতর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে দেশটি।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে কয়েক মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন দান করে প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এরফলে এইসব অঞ্চলে চীনের আধিপত্যও কিছুটা খর্ব হয়েছে।
ইতোমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদক, ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন মালদ্বীপ, ভুটান, বাংলাদেশ ও নেপালে পৌঁছে গেছে।
ভারতের দেওয়া ফ্রি ভ্যাকসিন লাভের প্রতিশ্রুতি পাওয়া দেশগুলোর তালিকায় মিয়ানমারও ছিল। এর আগে চীন সরকারও প্রতিবেশী দেশগুলোকে ফ্রি ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন প্রদান করার কথা বললেও শেষমেশ ভারত সবার আগে তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে।
মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সৌরভ কুমার দেশটির ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে ভ্যাকসিন আগমনের সময় তদারকি করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "এটা ভারতের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের জন্য উপহারস্বরূপ।”
মিয়ানমারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খিন খিন গি বলেন, “পরের সপ্তাহে টিকা প্রদান চালু হওয়ার আগে এগুলোকে ইয়াঙ্গুনে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষ ঘরে রাখা হবে। তিনি আরও বলেন, "টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এরপর বয়স্কদের প্রদান করা হবে। মিয়ানমারে ১,১০,০০০ এর বেশি স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
মিয়ানমার এখন করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভের সাথে লড়াই করছে। ১৩,০০০ এরও বেশি মামলা এবং ৩,০০০ মৃত্যুর রেকর্ড করেছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩৬,০০০ এবং মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৩০০০।
সম্প্রতি নতুন আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে তুলনামূলকভাবে কম টেস্ট হওয়ায় আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব নয়।
মতামত দিন