রাজ্যটির সব সরকারি বিভাগকে জানানো হয়েছে, সরকার, বিধায়ক ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে ‘আপত্তিকর ও অমর্যাদাকর’ কিছু দেখলেই জানাতে
সামাজিক মাধ্যমে সরকার, সাংসদ, বিধায়ক, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করলে ভারতের বিহার রাজ্যে জেলে যেতে হতে পারে। বিহার নিয়ে ফেসবুক, টুইটার-সহ সামাজিক মাধ্যমে মতামত দেওয়ার আগে সাবধান। সরকারের যদি মনে হয়, ওই মতামত অমর্যাদাকর বা আপত্তিকর, তাহলে শাস্তি পেতে হবে, এমনকী জেলও হতে পারে!
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) তার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। সব সরকারি বিভাগকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকার, সাংসদ, বিধায়ক, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে আপত্তিকর ও অমর্যাদাকর কিছু দেখলেই সঙ্গেসঙ্গে জানাতে। তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক প্রতিবেদনে এসব খবর জানিয়েছে জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলে।
বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন নীতীশ। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও তিনি বারবার বলেছেন, সামাজিক মাধ্যমে তার সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রটানো হয়। অন্যায্য সমালোচনা করা হয়। এবার নীতীশ কুমার আর “অমর্যাদাকর ও আপত্তিকর” সমালোচনা বরদাস্ত করতে রাজি নন। এই ধরনের সমালোচনা হলেই শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর তিনি।
নীতীশ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই বিহারের বিরোধী নেতা ও লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, ''৬০টি কেলেঙ্কারির নায়ক নীতিশ কুমার হলেন দুর্নীতির ভীষ্ম পিতামহ। তিনি অপরাধীদের রক্ষাকর্তা। তিনি হলেন অনৈতিক ও অবৈধ সরকারের দুর্বল প্রধান।''
এখানেই না থেমে তেজস্বী বলেন, ''নীতীশ হিটলারের পথ অনুসরণ করছেন। তিনি বিহারে গণতন্ত্রকে শেষ করে দিচ্ছেন। এবার পারলে আমাকে গ্রেফতার করুন।''
প্রসঙ্গত, সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করে পোস্ট করার জন্য পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের অনেক রাজ্যেই অনেকে গ্রেফতার হয়েছে। উত্তরপ্রদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা বা সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে লেখার জন্য শাস্তিও পেতে হয়েছে।
মতামত দিন