এখনও পর্যন্ত ১৩ টি রাজ্যের পাখির মধ্যে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হবার বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে, যার মধ্যে নয়টি রাজ্যের খামারে পালন করা পাখিতে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ১২টি রাজ্যের বন্য পাখিতে এই ভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে
মহামারি যেন পিছুই ছাড়ছে না বিশ্বের। করোনাভাইরাসের পর এবার বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত ভারতের ১৩টি রাজ্য। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ভারতের কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন এবং ডেইরি মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তারা জানায়, এখনও পর্যন্ত ১৩ টি রাজ্যের পাখির মধ্যে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হবার বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে, যার মধ্যে নয়টি রাজ্যের খামারে পালন করা পাখিতে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ১২টি রাজ্যের বন্য পাখিতে এই ভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন এবং ডেইরি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, পোল্ট্রি শিল্পে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত নয়টি রাজ্য হচ্ছে-- কেরালা, হরিয়ানা, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ এবং পাঞ্জাব।
অপরদিকে বন্য পাখিতে আক্রান্ত ১২ টি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে-- মধ্য প্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, উত্তরখণ্ড, দিল্লি, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব।
তবে, উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ, ল্যানসডাউন ফরেস্ট রেঞ্জ এবং পাওড়ি ফরেস্ট রেঞ্জ থেকে পাঠানো কাক ও কবুতরের নমুনা; রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগর থেকে পাঠানো কবুতরের নমুনা এবং উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর থেকে পাঠানো কাক ও ময়ূরের নমুনাগুলোতে বার্ড ফ্লু পাওয়া যায়নি। মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড ও কেরালায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় অসুস্থ পাখিকে আলাদা করা এবং পুড়িয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
কর্মসূচির পরিকল্পনা অনুসারে, যেসব পোল্ট্রি পাখি, ডিম এবং হাঁস-মুরগির বাচ্চা আক্রান্ত হয়েছে বা আক্রান্ত পাখির সংস্পর্শে ছিল সেসব খামারের মালিকদের ক্ষতিপূরণও প্রদান করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতে আরও জানানো হয়েছে, পশুপালন ও ডেইরি অধিদফতর (ডিএএইচডি) তার এলএইচ এবং ডিসি প্রকল্পে অধীনে ৫০:৫০ ভাগের ভিত্তিতে রাজ্যগুলোতে তহবিল সরবরাহ করবে এবং এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য সংশোধিত অ্যাকশন প্ল্যানের ওপর ভিত্তি করে গৃহীত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট বিভাগকে রিপোর্ট করছে।
মতামত দিন