করোনাভাইরাস মহামারিকালে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ তীব্র হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন তিনি
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামলাতে না পারার অভিযোগের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুসেপে কন্টি। ২০১৮ সাল থেকে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলাচ্ছেন তিনি। তবে করোনাভাইরাস মহামারিকালে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ তীব্র হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে সম্পূর্ ব্যর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তারই জেরে শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) তিনি দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং প্রেসিডেন্ট তা গ্রহণও করে নিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এসব খবর জানিয়েছে জার্মান সংবাদসংস্থা ডয়চে ভেলে।
ইতালিতে ২০১৮ সালে আইনের এই সাবেক অধ্যাপককে ক্ষমতায় আসতে জোট তৈরি করতে হয়েছিল আরো বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে। এরমধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজির দলও ছিল। মহামারিকালে রেনজির সঙ্গে কন্টির বিরোধ শুরু হয়। রেনজি প্রথম থেকেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। তার অভিযোগ, শুরু থেকেই করোনাভাইরাস মহামারি সামলাতে পারেনি কন্টির সরকার।
তবে বিরোধ তীব্র হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন করোনাভাইরাস রিকভারি ফান্ড ঘোষণা করার পর। কন্টি ইতালিকে দেওয়া ২০০ বিলিয়ন ইউরোর পুরোটাই একবারে খরচের পক্ষে ছিলেন। তবে রেনজি তার বিরোধিতা করে সরকার থেকে নিজের দলকে সরিয়ে নেন।
রেনজি সরকার থেকে সরে যাওয়ায় সরকারপক্ষ দুর্বল হয়ে পড়ে। ইতালির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করতে পারলেও উচ্চকক্ষ বা সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেননি কন্টি। ফলে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
ইতালির কোভিড পরিস্থিতি
ইউরোপের বহু দেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া জোরে-শোরে চললেও ইতালিতে এখনো তা খুব ভালোভাবে হচ্ছে না। সরকারের দাবি, বড়বড় কোম্পানি তাদের সময় মতো টিকা পাঠাচ্ছে না। কন্টি ফের ক্ষমতায় এলে বেশ কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তার আগে তাকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।
মতামত দিন