তবে কোনও তথ্য চুরি হয়ে থাকলে সেটা কতটুকু, সেসম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ফাইজারের কাছ থেকে কোভিড-১৯ টিকার প্রযুক্তি চুরি করার চেষ্টা করেছিল উত্তর কোরিয়া। তবে কোনও তথ্য চুরি হয়ে থাকলে সেটা কতটুকু, সেসম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এক প্রতিবেদনে এসব খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা দেশটির আইনপ্রণেতাদের গোপনে “সন্দেহভাজন” হামলার ধারণা দিয়েছে। তবে এবিষয়ে মন্তব্যের জন্য ফাইজারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এখনও কিছু জানায়নি।
উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত দেশটির জনগোষ্ঠীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরিসংখ্যান বিষয়ে কোনও তথ্য জানায়নি। গতবছরের জানুয়ারিতে চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার পাওয়ার কথা রয়েছে।
এই হামলার পেছনে উত্তর কোরিয়ার জিঙ্ক অ্যান্ড সেরিয়াম নামে একটি সংস্থা ও রাশিয়ার ফ্যান্সি বিয়ার নামে একটি সংস্থা দায়ী বলে অভিযোগ করা হয়।
তবে অন্য দেশের টিকা উৎপাদনের গবেষণাকে টার্গেট করার অভিযোগ নাকচ করেছে ক্রেমলিন। অনেকবার চুরির চেষ্টা ব্যর্থ হলেও মাইক্রোসফট এমন এক সময়ে সতর্কতা দিয়েছিল যখন বেশ কয়েকটি হামলা সফল হয়েছিল।
বিবিসি’র নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি গর্ডন করেরা জানান, মহামারির শুরু থেকে করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলার অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশ তাদের হ্যাকারদের নিয়োগ দিতে শুরু করে।
এদের মধ্যে কারো কারো কাজ ছিল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা আবার কারো কাজ ছিল সুবিধা আদায়ের জন্য বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদ চুরি করা। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে সক্রিয় দেশ হচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
অনেকটা রুদ্ধ সমাজ হলেও উত্তর কোরিয়ার রয়েছে উন্নত সাইবার ইউনিট, যারা অন্য দেশকে শুধু গোপনীয়তার জন্য নয় বরং অর্থ আদায়ের জন্যও টার্গেট করে থাকে।
গতবছর যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কেন্দ্র টিকা উৎপাদনের গবেষণাকে ঘিরে একটি সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছিল। চলতি বছরও টিকা সরবরাহের প্রক্রিয়া এবং টিকাদান কর্মসূচি সুরক্ষিত করার উপরে বেশ জোর দেওয়া হয়।
মতামত দিন