ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার জন্য “অসামান্য কাজ” করছেন। তিনি খুবই শান্ত ও ধার্মিক। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এখবর জানায়।
তিনদিন আগে ওয়াশিংটন থেকে জানানো হয়েছিল, সিএএ-এনআরসি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ নয়াদিল্লিকে জানাবেন ট্রাম্প। জনসভাতেও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে সরব হবেন। তবে ৩৬ ঘণ্টার ভারত সফরে প্রকাশ্যে সে পথ মাড়াননি ট্রাম্প। উল্টে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা নিয়ে মোদীর ভূমিকার প্রশংসাই করেছেন। জানিয়েছেন, সিএএ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কোনও আলোচনাই হয়নি।
ভারতে থাকাকালীনই দিল্লিতে চলা সহিংসতা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি এব্যাপারে শুনেছেন কিন্তু বিষয়টি একেবারেই ভারতের “অভ্যন্তরীণ”। ভারত সরকার সিএএ নিয়ে নিজের দেশের জন্য ঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলেই ট্রাম্প মনে করেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘‘ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়ে মোদী অসাধারণ কাজ করছেন। তিনি এব্যাপারে উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই চলেন। অন্য অনেক জায়গার থেকে ভারতের পরিস্থিতি এব্যাপারে ভাল।’’
প্রশ্ন উঠছে, মার্কিন কংগ্রেসের একটি বড় অংশের চাপ থাকা সত্ত্বেও ভারতে এসে সিএএ নিয়ে মুখ না খোলা বা ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা অথবা কাশ্মীর থেকে ৩৭০ প্রত্যাহারের পর সেখানকার মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রশ্ন না তোলার পিছনে কি এক ধরনের কৃতজ্ঞতাবোধ কাজ করেছে ট্রাম্পের? তবে রাতের যৌথ বিবৃতি থেকে স্পষ্ট, মুখে না বললেও যৌথ বিবৃতিতে নাগরিকদের সমানাধিকার, মানবাধিকার বা স্বাধীনতার বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন চাপে।
হায়দরাবাদ হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে দেওয়া বিবৃতিতে ট্রাম্পের বক্তব্য, ‘‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার ক্ষেত্রে আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে, দু’দেশই গণতন্ত্র, সংবিধানের ঐতিহ্যকে মূল্য দিয়ে থাকে। আমাদের সংবিধান ব্যক্তি স্বাধীনতা, আইনের শাসন ও স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করে।’’