২০১২ সালে ভারতের দিল্লির একটি বাসে এক নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ মার্চ) ভোরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ওই চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
কারাগার প্রধান সন্দীপ গোয়াল বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, “ভারতের রাজধানী দিল্লির তিহার জেলখানায় স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায় এ চার আসামির সকলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ২০১৫ সালের পর এটি ভারতের প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা।”
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় শুক্রবার সকালে ওই কারাগারের বাইরে লোকজনকে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
গণধর্ষণের শিকার হয়ে প্রাণ হারানো মেয়েটির মা আশা দেবি কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, “সাত বছর পর আমার মেয়েকে হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ায় আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।”
দিল্লির বাসিন্দা মীনা শর্মা এএফপি’কে বলেন, “আজ ভারতের সকল নারী ন্যায় বিচার পেয়েছে। আমি রাত ৩টার দিকে এখানে এসেছি। আমাদের জন্য আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন হওয়ায় আমি এখানে অবস্থান করি।”
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ২৩ বছর বয়সী জ্যোতি সিং তার ছেলে বন্ধুর সিনেমা দেখা শেষে বাড়ি ফিরতে দিল্লির একটি বাসে উঠেছিল। পরে সিং ওই বাসে গণধর্ষণের শিকার হয় এবং শেষ পর্যন্ত তাকে প্রাণ হারাতে হয়। বাসটিতে পাঁচ ব্যক্তি ও ১৭ বছরের এক বালক ছিল।
ওই হত্যার ঘটনায় সে সময় দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় ওঠে।