করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ফিলিপাইনে চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন। সরকারি এই নির্দেশনা উপেক্ষাকারীদের গুলি করে মারা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। পাশাপাশি, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের হয়রানিকেও "মারাত্মক অপরাধ" বলে অভিহিত করেছেন তিনি। কেউ এই অপরাধে জড়িত থাকলে তা-ও সহ্য করা হবে না বলে জানান দুতার্তে।
বুধবার (০১ এপ্রিল) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের উচিৎ হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা মেনে চলে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করা।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ফিলিপাইনে মারা গেছেন ৯৬ জন। মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ২,৩১১ জন। গত তিন সপ্তাহে দেশটিতে সংক্রমণের হার কম থাকলেও চলতি সপ্তাহে প্রতিদিন কয়েকশ' মানুষের সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে দুতার্তে বলেন, “পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তাই আমি আবারও সমস্যাটির গুরুত্ব বোঝাতে চাই এবং আপনাদের তা মানতে হবে।”
“পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিচ্ছি, সমস্যা দেখলে এবং কেউ পাল্টা মারামারি করে আপনাদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে চাইলে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করবেন।”
“বিষয়টা বোঝা গেছে? মৃত্যু! সমস্যার কারণ হওয়ার বদলে আমি আপনাদের কবর দেব।”
সরকারি ত্রাণের অপ্রতুলতার কারণে বুধবার রাজধানী ম্যানিলার দারিদ্র্যপীড়িত এলাকার জনগণ বিক্ষোভে নামে। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় বেশ কিছু মানুষকে। গণমাধ্যমে এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন দুতার্তে।
এছাড়া, হামলা ও হয়রানির শিকার হন বেশ কিছু হাসপাতালের কর্মীরা। যা অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট।
তবে, দেশটির পুলিশ প্রধান বৃহস্পতিবার বলেছেন, জনগণকে সরকারি নির্দেশনার গুরুত্ব বোঝাতেই দুতার্তে এমন মন্তব্য করেছেন। কাউকে গুলি করা হবে না।