করোনাভাইরাস সংকটে বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় বিশ্বের তেল রপ্তানিকারকদের সংগঠন ওপেক ও তার সহযোগী দেশগুলো দৈনিক এককোটি ব্যারেল উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে৷
২০২২ সালের এপ্রিল নাগাদ ধীরেধীরে তেল উৎপাদন স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে তারা৷ সোমবার (১৩ এপ্রিল) এশিয়া মার্কেট খোলার কয়েক ঘণ্টা আগে এই ঘোষণাটি আসে৷
ওপেক, রাশিয়া ও অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রগুলো রবিবার এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায়৷ করোনা ইস্যুতে বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা ও দাম কমে যাওয়ায় সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে৷ এই উৎপাদন কমানো বৈশ্বিক সরবরাহের প্রায় ১০ ভাগ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ২০ ভাগও হতে পারে৷
চুক্তির পর সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে শতকরা পাঁচ ভাগ, ব্যারেল প্রতি দাম এখন ৩০ ইউরো ২৭ সেন্ট৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তির প্রশংসা করে রাশিয়ার প্রেসিডন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷
The big Oil Deal with OPEC Plus is done. This will save hundreds of thousands of energy jobs in the United States. I would like to thank and congratulate President Putin of Russia and King Salman of Saudi Arabia. I just spoke to them from the Oval Office. Great deal for all!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) April 12, 2020
সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী আব্দুল আজিজ বিন সালমান অবশ্য জানিয়েছেন, এরফলে দৈনিক ১ কোটি ২৫ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাতে হবে৷ কেননা এপ্রিলে সৌদি আরব, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত অনেক বেশি উৎপাদন করে ফেলেছে৷ তবে এই ঐতিহাসিক চুক্তির সাক্ষী হতে পেরে তারা নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছেন বলে জানান তিনি৷
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বর্তমানে ৩০ লাখ মানুষ লকডাউনে রয়েছে৷ এরফলে বিশ্বের জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ৷