২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'কে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আটক বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ যুবক নাইমুর জাকারিয়া রহমানকে ৩০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালত।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র ডাউনিং স্ট্রীটের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বোমা ফাটিয়ে এবং পরবর্তীতে ছুরি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন ২১ বছর বয়সী এই যুবক।
গত ১৯ জুলাই একই আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন, যার প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার এই রায়ের ঘোষণা দেন আদালত।
‘তার পরিকল্পনায় আশেপাশের সাধারণ মানুষকে হত্যার কোন অভিপ্রায় ছিল না। এমনকি, হত্যার পরিকল্পনা সফল না হলেও মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করাও তার উদ্দেশ্য ছিল।‘ যুক্তরাজ্যের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এর প্রতিনিধি ডিন হেইডন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি অনলাইনে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী 'আইএস' এর সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে জানা যায় তিনি যাদের সাথে যোগাযোগ করেন তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ছদ্মবেশী গোয়েন্দা সংস্থা 'এমআই-ফাইভ' সদস্য।
জাকারিয়া গত নভেম্বরে হাতবোমা সংগ্রহ করার সময় ছদ্মবেশী পুলিশের কাছে ধরা পড়েন। তার সংগ্রহকৃত বোমাটিও নকল ছিল বলে জানায় পুলিশ।
গত জুলাই রায় ঘোষণার পর পুলিশ জানায় যে, জাকারিয়ার একজন চাচা 'আইএস' এর সদস্য ছিলেন। এই চাচার সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এই ব্যক্তিই জাকারিয়াকে লন্ডনে হামলা চালাতে উৎসাহিত করেছিলেন।
জাকারিয়া ২ বছর ধরে হামলার পরিকল্পনা করছিল, যদিও তার পরিকল্পনায় বড় বাধা আসে যখন ড্রোন হামলায় তার চাচার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ২য়। যুক্তরাজ্যের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এর প্রধান গত মে মাসে জানান যে, ২০১৭-র মে মাসের হামলার পর থেকে এপর্যন্ত ১২ টি সন্ত্রাসী হামলা নস্যাৎ করা হয়েছে।
এর আগে, গত মাসে ১ জন ব্যক্তিকে হত্যা চেষ্টার দায়ে আটক করা হয় যিনি গাড়ি নিয়ে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালিয়েছিলেন। পরবর্তীতে পুলিশ এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসাবে অভিহিত করে।