এক গবেষণায়, একজনের শরীর থেকে অন্যজনের দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে শারীরিক সম্পর্কের সময়ও মুখে
মাস্ক পরে নেওয়া উচিৎ বলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ৮ মে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ “অ্যানালস অব ইন্টারন্যাল মেডিসিন” নামক সাময়িকীতে প্রকাশিত এক
গবেষণায় দেখিয়েছেন যে করোনাভাইরাস সঙ্কটকালে শারীরিক সম্পর্ক কীভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিমুক্ত হতে পারে।
সোমবার (১ জুন) ইংল্যান্ডে একটি নতুন আইন বলবৎ করা হয় যেখানে, আলাদা বাড়িতে থাকা নারী ও পুরুষের মধ্যে
শারীরিক সম্পর্ককে অবৈধ ঘোষণা করে তাদের একসাথে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যজুড়ে প্রচারিত
নির্দেশিকায়ও একই বাড়ির বাসিন্দা ব্যতীত অন্যকারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, শারীরিক সম্পর্ক চলাকালে কতখানি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, গবেষকরা সেটি তুলে
ধারার চেষ্টা করেছেন। তারা বলছেন, শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ। যদিও তা বেশিরভাগের
পক্ষেই সম্ভব হয় না।
পরবর্তী ধাপ হলো হস্তমৈথুন, যে পদ্ধতিকে গবেষণায় “নিম্ন ঝুঁকির” বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এরপরই বলা হয়েছে,
ভার্চুয়ালি যৌনকার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ার বিষয়ে।
তবে, একই বাড়িতে বসবাসকারী কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সেই দু’জন বাড়ির বাইরে থেকে আসা ভাইরাস
দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার উচ্চঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন। আর সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, আলাদা বাড়িতে
বসবাসকারীদের মধ্যকার শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি।
গবেষণায় বলা হয়, রোগীদের অবশ্যই ঝুঁকি কমানোর বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে সচেতন করা জরুরি। যেমন, শারীরিক
সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা গিয়েছে এমন কারও সঙ্গে সম্পর্কে না যাওয়া, শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মুখের ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, মুখে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা, সম্পর্কের আগে ও পরে গোসল করা এবং ভালোভাবে সাবান বা অ্যালকোহল টিস্যু দিয়ে শরীর পরিষ্কার করা
গবেষণাদলের প্রধান ড. জ্যাক টারবান বলেন, “কিছু রোগীর জন্য, শারীরিক সম্পর্ক একেবারেই বন্ধ করলেই লক্ষ্য অর্জিত
হবে এমনটি নয়। এই পরিস্থিতিতে, সবচেয়ে ভালো বিকল্প হলো একইসাথে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে এমন মানুষদের মধ্যে
শারীরিক সম্পর্ক হওয়া।”