ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেওয়া প্রায় অর্ধশত অভিবাসনপ্রত্যাশী বহনকারী একটি নৌকা শনিবার (১৩ জুন) ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে ডুবে গেছে।
এঘটনায় ওই নৌকায় থাকা কমপক্ষে ১২জন নিখোঁজ হয়েছেন এবং তাদের মৃত্যুর আশংকা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা-আইওএম’র মুখপাত্র সাফা মেশেলি জানান, রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার পশ্চিমে উপকূলীয় শহর জাভিয়ার কাছে ওই নৌকাটি ডুবে যায়।
তিনি জানান, নিখোঁজদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে ও চাদ, নাইজেরিয়া, মিশর ও সুদান থেকে আসা কমপক্ষে ২০জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এসব অভিবাসীদের লাইফ জ্যাকেট ছিল না, নৌকাটির অবস্থা খারাপ ছিল এবং যাত্রা শুরু করার পরপরই সেটি ডুবে যায় উল্লেখ করে মেশেলি বলেন, মৃতদেহ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অ্যালার্ম ফোন নামে একটি স্বাধীন মানবাধিকার সংগঠন জানায়, লিবিয়া থেকে পালিয়ে আসা একজন অভিবাসীর এক আত্মীয়ের কাছ থেকে তারা ফোন কলে জানতে পারেন যে ওই নৌকাটি বিপদে পড়েছে। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে ওই নৌকায় থাকা কারও সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সংগঠনটি জানায়, পরে নিখোঁজ হওয়া অভিবাসীদের আত্মীয়দের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে সমুদ্রে অন্তত ১৫জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন এবং ১৭জনকে লিবিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালে অভ্যুত্থানের পরে স্বৈরশাসক গাদ্দাফির পতন ও তাকে হত্যা করার পর পালিয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য আফ্রিকা ও আরব অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে ওঠে লিবিয়া। বেশিরভাগ অভিবাসীই অনিরাপদ এবং ছোট রাবারের নৌকায় চড়ে বিপদসংকুল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে।
আইওএম জানায়, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২০১৪ সাল থেকে এপর্যন্ত ২০ হাজারেরও বেশি শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে অভিবাসী ঠেকাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লিবিয়ার উপকূলরক্ষী এবং অন্যান্য বাহিনীর সাথে একজোট হয়ে কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।