পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহকে হত্যায় তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরিস ডেভন হাসপিলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) তার বিরুদ্ধে 'সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের' অভিযোগ গঠন করা হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার বলতে মূলত ইচ্ছাকৃত কিন্তু পূর্বপরিকল্পিত নয়, এমন হত্যাকাণ্ডকে বোঝায়। এরআগে, একইদিন নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন - ফাহিম সালেহকে হত্যার অভিযোগে ব্যক্তিগত সহকারী গ্রেফতার
রোডনি হ্যারিসন নামে নিউইয়র্ক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সালেহ’র অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিষয় তদারকি করতেন হাসপিল। পুলিশের ধারণা, প্রায় এক লাখ ডলারের মতো সালেহ’র কাছ থেকে চুরি করেন হাসপিল।তবে বিষয়টি বুঝতে পেরেও পুলিশকে জানাননি সালেহ, বরং হাসপিলকেই ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সময় দেন।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে ম্যানহাটানের লোয়্যার ইস্ট সাইডে নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ৩৩ বছর বয়সী সালেহ’র খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেসময় তার পাশে একটি ইলেকট্রিক করাত পড়ে ছিলো বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, ফাহিম সালেহকে স্থানীয় সময় ১৩ জুলাই কোনও একসময়ে হত্যা করা হয়। এর একদিন পর ১৪ জুলাই আবার ওই অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসেন হত্যাকারী। এরপর ইলেকট্রিক করাত দিয়ে মরদেহ কয়েক টুকরা করে বড় একটি ব্যাগে ভরে ফেলেন।
আরও পড়ুন - নিউইয়র্কে পাঠাও সহ-প্রতিষ্ঠাতাকে নির্মমভাবে হত্যা
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বাংলাদেশি বাবা-মায়ের সংসারে জন্ম নেন ফাহিম সালেহ। এরপর পরিবারের সাথে নিউইয়র্কে চলে যান তিনি।
২০১৪ সালে নিউইয়র্ক থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় এসে প্রযুক্তি-ভিত্তিক বেশ কিছু ব্যবসার উদ্যোগ নেন তিনি। শুরুতে শুধুমাত্র পণ্য পরিবহন সার্ভিস নিয়ে কাজ করলেও পরবর্তীতে রাইড শেয়ারিং সেবা চালু করে “পাঠাও”।
বাংলাদেশে পাঠাও প্রতিষ্ঠায় সালেহ’র সাথে আরও দুজন ছিলেন। পরবর্তীতে তার কিছু শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে নিউইয়র্কে ফিরে যান সালেহ। এরপর “পাঠাও” এর আদলে নাইজেরিয়ায় “গোকাডা” নামে একটি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন তিনি।