লেবানননে বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ও দেশটির ব্যাংকিং সমিতির সদর দফতরে হামলা চালায় তারা।পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেলও নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশও বিক্ষোভকারীদের দিকে পাল্টা টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রথমে একদল বিক্ষোভকারী সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে এবং প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের প্রতিকৃতি পুড়িয়ে দেয়। এরপর তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করে এবং দখলে নেয়। রেবেকা বলে পরিচয় দেয়া এক বিক্ষোভকারী বিবিসিকে বলেছেন, "এই জায়গা এখন আমাদের, পুরোপুরি আমাদের, দরজার বাইরে পুলিশ আছে। কিন্তু তারা আমাদের থামাতে পারেনি।" পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেতরে জড়ো হয় শতাধিক বিক্ষোভকারী - তাদের মধ্যে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, এ হামলার পর দেশটির সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের অবিশ্বাস প্রসঙ্গে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব জানান, তিনি সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসাবে দ্রুত নির্বাচন চাইবেন। তিনি আরও বলেন, "আমরা দ্রুত পার্লামেন্ট নির্বাচন না করে দেশের কাঠামোগত সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো ন।” সোমবার মন্ত্রিসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ৪ আগস্ট লেবাননে ভয়াবহ বিস্ফোরণটিতে কমপক্ষে ১৫৮ নিহত হন। ২০০০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংরক্ষণের গুদামে বিস্ফোরণ প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় বহু লেবানিজ নাগরিক। এই বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছয় বছর আগে একটি জাহাজ থেকে জব্দ করা হয়েছিল তবে কখনও স্থানান্তর করা হয়নি। যদি এঘটনায় সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অদক্ষতা ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। গত অক্টোবর থেকে দেশটিতে অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং মুদ্রা সংকট নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলছিল। বিস্ফোরণের ঘটনায় শহরের একটি অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে যা সরকারের প্রতি মানুষের অবিশ্বাসকে আরও গভীর করে তুলেছে।