ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার সমঝোতা চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) এ চুক্তি প্রসঙ্গে আশা প্রকাশ করে বলেন, “চুক্তিটি দুদেশের নেতাদের জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ তৈরি করবে।”
সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিকের এক বিবৃতি তুলে ধরে বলা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে দুজারিক বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের যৌথ বিবৃতিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের অংশ করে নেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুজারিক বলেন, “মহাসচিব এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করছেন, এটি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি নেতাদের জন্য পুনরায় অর্থবহ আলোচনা শুরু করার সুযোগ তৈরি করবে। যার ফলে জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবনা, আন্তর্জাতিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান আসবে।”
কোভিড-১৯ ও উগ্রপন্থীদের মারাত্মক হুমকির মুখোমুখি হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি এখন আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বিবৃতিতে বলা হয়, মহাসচিব সংলাপ, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আরও সম্ভাবনা খুলতে সবপক্ষের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু পৃথকভাবে ঘোষণা করেছেন যে, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয়েছে। ইসরায়েল তাদের ভূমি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখবে এমন প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে চুক্তিটি করা হয়েছে।
এ চুক্তির ফলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাওয়া প্রথম কোনও উপসাগরীয় দেশ হতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।