ভারতের হায়দ্রাবাদ শহরে এক নারী (২৫) অভিযোগ করেছেন ১৪৩ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষকদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ছাত্র নেতা, সংবাদকর্মীসহ অনেকেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ওই নারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে হায়দ্রাবাদ পুলিশ।
এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা এম. নিরঞ্জন রেড্ডি সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ওই নারী ৪২ পাতার লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। তার অভিযোগপত্র দেখে খুবই আশ্চর্য হয়েছিলাম। কিন্তু তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ওই যুবতীর কোনো মানসিক সমস্যা নেই। সেজন্যই অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
অভিযোগ পত্রে ওই নারী লিখেছেন, ২০০৯ সালে খুব কম বয়সে তার বিয়ে হয়। তার কয়েক মাস পর থেকেই শারীরিক নির্যাতন শুরু করে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। প্রায় নয় মাস ধরে যৌন নির্যাতন সহ্য করার পরে ২০১০ সালে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর পর বাবার বাসায় ফিরে গিয়ে কলেজে ভর্তি হন। তারপর থেকেই রাজনৈতিক নেতা, ছাত্র নেতা, সংবাদকর্মী, চলচ্চিত্র জগতের মানুষ নিয়মিত তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী। আভিযোগপত্রে তিনি ১৩৯ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। বাকি চারজনের নাম মনে করতে পারেননি ওই নারী।
ওই নারী অভিযোগ করেন, শারীরিক সম্পর্কের ছবি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তরা তাকে ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন চুপ করিয়ে রেখেছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা রেড্ডি বিবিসিকে বলেন, "শনিবার (২২ আগস্ট) আমরা ওই নারীর বয়ান রেকর্ড করছি। তার শারীরিক পরীক্ষাও করা হবে। আশা করছি আগামী দিন দুয়েকের মধ্যে কিছু তথ্য প্রমাণ আমরা জোগাড় করতে পারব। যার ভিত্তিতে পরবর্তী তদন্ত এগোবে।"