গত বৃহস্পতিবার চেক প্রজাতন্ত্র সফরে যান ভারতের রামনাথ কোবিন্দ। তিনদেশ সফরের এটাই শেষ দেশ। ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সেন্ট্রাল ইউরোপ সফরে গিয়েছেন তিনি।
সেখানেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ শুনলেন কিশোর কুমারের ক্ল্যাসিকাল গান 'পল পল দিল কে পাস'। পেলেন ভারতীয় সংস্কৃতির খোঁজ।
রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর স্ত্রী চেক প্রজাতন্ত্রে থাকা ভারতীয় সম্প্রদায়ের অভ্যর্থনায় হাজির হয়ে এভাবেই হলেন যারপরনাই মুগ্ধ।
A heartwarming rendition of Kishore Kumar's iconic "Pal Pal Dil Ke Paas" by India-Czech Sinfonietta Orchestra pic.twitter.com/LzMhpmea4G
— President of India (@rashtrapatibhvn) September 6, 2018
কিশোর কুমার গেয়েছিলেন 'পল পল দিল কে পাস'। ১৯৭৩-এ ধর্মেন্দ্র ও রাখি অভিনীত ব্ল্যাকমেল ছবির এই গানটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল সে সময়। পরবর্তী কয়েক দশকেও গানটি তার আবেদন এক বিন্দুও হারায় নি। সেই গানই গাওয়া হল চেক সফরে যাওয়া রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সামনে। গাইলেন সেদেশেরই নাগরিকরা। আর সেই গানের সঙ্গে অর্কেস্ট্রার দায়িত্বে ছিলেন কলকাতায় জন্মানো দেবাশিস চৌধুরী।
"I fell in love with Bengali literature. It is very popular in Czech Republic" - Zuzana Spicova, student of Indology at the Charles University speaks in fluent Bengali! pic.twitter.com/XMfkF8F8sH
— President of India (@rashtrapatibhvn) September 8, 2018
শুধু কি হিন্দি সংস্কৃতির খোঁজ? যেন চমৎকার এক পশরা বসেছিল বাংলা, সংস্কৃত এবং তামিল ভাষার চর্চারও।
সেখানকার চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্দোলজির ছাত্রী জুজানা স্পিকোভা পরিষ্কার বাংলায় জানালেন রবীন্দ্রনাথের কথা। তাঁর বাংলায় দখল দেখে বেশ অভিভূত হলেন রাষ্ট্রপতি।
পরিচয় হয় চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেক গুণী ছাত্র মাইকেল হ্যাভরানেক-এর সঙ্গে। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সে চর্চা করে সংস্কৃতের।
"I like Sanskrit immensely, because there is a divine sweetness as well as an ancient wisdom in it" - Michael Havranek, a major in Sanskrit at Charles University, speaks in fluent Sanskrit pic.twitter.com/i6mM1FmEaK
— President of India (@rashtrapatibhvn) September 8, 2018
রাষ্ট্রপতির আলাপ হয় সিমোনা জিলোভার সঙ্গেও। চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়েই তামিল ভাষার চর্চা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলা ভাষা ও বাঙালির সম্পর্ক আজকের নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই ১৮৫০ সাল থেকে এখানে সংস্কৃত পড়ানো হয়।
ভারতের রাষ্ট্রপতির সামনে বাংলায় বক্তব্য রাখা চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বললেন, তিনি বাংলা ভাষা ভালোবাসেন। পড়াশোনা করেন বাংলাতেই।
বলা বাহুল্য, চেক প্রজাতন্ত্রে বাংলা ভাষার এমন কদর দেখে বেশ আপ্লুত হন ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি ।