গতবছর ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল ভারত ও বাংলাদেশে, এমন দাবি করেছেন চীনের একদল গবেষক।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানচেটে প্রকাশিত “মানবদেহে করোনভাইরাসের সংক্রমণ ও ছড়িয়ে পড়া” শীর্ষক ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, ভাইরাসটির উৎস শনাক্ত করতে এ পর্যন্ত যেসব গবেষণা হয়েছে সেগুলোতে প্রথাগত পদ্ধতির ত্রুটি ছিল।
গবেষণাপত্রটিতে আরও বলা হয়েছে, বেশিরভাগ বিজ্ঞানী কয়েকবছর আগে চীনের ইয়াননান প্রদেশে বাদুড় থেকে ছড়িয়ে পড়া এক ভাইরাসকে করোনাভাইরাসের বংশের হিসেবে নির্দেশ করছেন। তবে করোনাভাইরাস ওই ভাইরাস বংশের নয়। তবে ভাইরাসটির উৎপত্তির উৎস খুঁজতে প্রথাগত পদ্ধতি ব্যবহার না করে চীনের বিজ্ঞানীরা ভিন্ন এক পদ্ধতি ব্যবহার করেছে।
গবেষণাপত্র অনুযায়ী, সবচেয়ে কম রূপান্তরিত রূপটাই ভাইরাসটির আসল রূপ হতে পারে। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, গ্রিস, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইতালি ও চেক রিপাবলিকসহ মোট আটটি দেশে এ ভাইরাসটি সবচেয়ে কম রূপান্তরিত হয়েছে।
গবেষণাপত্রটিতে বাংলাদেশ ও ভারতের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রথম প্রাদুর্ভাবের এলাকাগুলোতে বৃহত্তর জিনগত বৈচিত্র্য থাকা প্রয়োজন। ভারতের যুব সম্প্রদায়, চরম আবহাওয়া ও খরা মানুষের মধ্যে এ ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে বলেও অভিযোগ চীনের ওই গবেষক দলের।
তবে চীনের এ গবেষণাটি “খুবই ত্রুটিপূর্ণ” বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির এক গবেষক ডেভিড রবার্টসনের বরাতে ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমরা যা বুঝি তার কিছুই গবেষণাটিতে বলা হয়নি।”