আদিত্য সিং নামের ভারতীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তিন মাস বিমানবন্দরে বসবাস করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো অঙ্গরাজ্যে।
শিকাগো পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ওই যুবক ১৯ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে শিকাগো আসেন। পরে প্রায় তিন মাস পর ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের দুই কর্মী তাকে বিমানবন্দরের ভেতরে দেখে সন্দেহজনক মনে করে। পরে তার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। এ সময় আদিত্য সিং তাদের একটি বিমানবন্দরের এক কর্মচারীর পরিচয়পত্র দেখান। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ২৬ অক্টোবর থেকে ওই পরিচয়পত্রটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ওই দুই কর্মী জরুরি নম্বর ৯১১’এ ফোন করে আদিত্য সিংকে পুলিশের হেফাজতে তুলে দেন।
সংবাদমাধ্যম শিকাগো ট্রিবিউনকে জানায়, আদিত্য সিং এর আগে কোনো অপরাধ করেছে বলে জানা যায়নি। তিনি বিমানবন্দরে নামার পর পরিচয়পত্রটি খুঁজে পান এবং তাই দিয়েই সেখানে নির্বিঘ্নে চলাচল করেছেন এতদিন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়েই তিনি এতোদিন বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত ছিলেন। আদিত্য সিং জানান যে, তিনি বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের থেকে খাবার চেয়ে খেয়েছেন এই তিন মাস। আদিত্য হসপিটালিটি বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন এবং লস এঞ্জেলসে বসবাস করেন। বর্তমানে তিনি বেকার।
এদিকে শিকাগো বিমান বিভাগ জানিয়েছে, যে বিমানবন্দরের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সবার আগে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। ভদ্রলোক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কাজ করেননি।
আদিত্য সিংয়ের জামিন মূল্য ধার্য করা হয়েছে ১ হাজার মার্কিন ডলার। এটি পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিনি বিমানবন্দর থেকে নিষিদ্ধ হবেন।