সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে মিয়ানমারে সাধারণ জনগণের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (২ মার্চ) দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে।
এর আগে অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতায় ফেরানোর দাবিতে রবিবারের বিক্ষোভে মিয়ানমারজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলির ছুড়েও বিক্ষোভ দমনে ব্যর্থ হয়ে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি ছোড়া শুরু করলে ভয়াবহ সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এদিকে, মিয়ানমারে সহিংসতা রোধ এবং ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় দেশটির সামরিক বাহিনীর সাথে আলোচনার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় (আসিয়ান) দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিশেষ বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়েছেন। মঙ্গলবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রবিবার মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের সময় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে।
রাজনৈতিক কয়েদিদের জন্য স্বাধীন সহায়তা সমিতির তথ্যানুসারে কর্তৃপক্ষ সপ্তাহান্তে এক হাজারেরও বেশি লোককে আটক করেছে।
আটকদের মধ্যে কমপক্ষে সাতজন সাংবাদিক রয়েছে। এর মধ্যে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের থেইন জাও আছেন। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে কমপক্ষে দুই ডজন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার শত শত বিক্ষোভকারী ইয়াঙ্গুনের হিলডান এলাকায় জড়ো হয়, যেখানে একদিন আগে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছিল।