গত সোমবার (১০ মে) ভারতের বিহারের গঙ্গা নদীতে ভেসে আসা বেশ কয়েকটি মৃতদেহ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সবাই ধারণা করছিলেন, ভেসে আসা মরদেহগুলো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের।
ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার (১১ মে) বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা নদীতেও পঁচা-গলা মরদেহ ভাসতে দেখা গেছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েকদিন ধরে গঙ্গায় ভেসে আসছে “করোনাভাইরাস রোগীর” মরদেহ। পঁচাগলা দেহ জমা হচ্ছে নদীর পাড়ে। স্থানীয়রা মনে করছেন, এগুলো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, এমন মানুষের দেহ।
তাদের ধারণা, শ্মশানে পোড়ানোর স্থান নেই, কাঠের জোগানও কম। সে কারণেই গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। সেই দেহই ভেসে আসছে নদীতে।
গাজীপুরের জেলাপ্রশাসক এমপি সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘দেহগুলি কোথা থেকে, কী ভাবে আসছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে মঙ্গলবার হাজির হয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তারা বোঝার চেষ্টা করছেন, কোন গতিপথ বেয়ে দেহ এসে উঠছে পাড়ে।”
এর আগে সোমবার বিহারের গঙ্গায় যে মরদেহগুলো ভেসে এসেছিল, সেগুলো করোভাইরাসে মৃত ব্যক্তিদের কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিল বিহারের প্রশাসন। একাংশের দাবি ছিল, সম্ভবত উত্তরপ্রদেশ থেকে মৃতদেগুলো ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর সেগুলোই বিহারে পৌঁছেছে। যদিও সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কিন্তু উত্তরভারত জুড়ে নদীর পাড়ে তৈরি হওয়া শ্মশানগুলোর চিত্র এই সন্দেহকে আরও জোরদার করছে।
সবারই ধারণা, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার এতই বেড়ে গেছে যে, দাহ করার জন্য শ্মশানেও বৈদ্যুতিক বা কাঠের চুল্লি নেই। তাই অনেকেই গঙ্গায় মরদেহ ভাসিয়ে দিচ্ছেন।